ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে বরগুনার পাথরঘাটার তোফাজ্জলকে (৩০) পিটিয়ে হত্যার আগে পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানি তার গ্রামের বাড়িতে গেলে তোফাজ্জলের ভাবি শরিফা বেগম এমন দাবি করেন।
শরিফা বেগম বলেন, ‘বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে তোফাজ্জল প্রথম একটি নম্বর থেকে কল করে জানান, ভাবি আমাকে মোবাইল চোর সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আটকে মারধর করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তোফাজ্জলের সঙ্গে কথপোকথনের কিছুক্ষণ পর আবার নতুন একটি নম্বর দিয়ে আমাকে কল করে জানানো হয়, আপনি যদি তাকে বাঁচাতে চান তবে এখনই আমাদের বিকাশ নাম্বারে ২ লাখ টাকা পাঠান। তা না হলে আমরা মেরে ফেলবো। এরপর আমি ভয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখি। সকালে জানতে পারি আমার দেবরকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকাণ্ডে যারা সম্পৃক্ত তাদের বিচার দাবি করছি।’
পাথরঘাটা থানার ওসি আল মামুন বলেন, তোফাজ্জেল মানসিক ভারসাম্যহীন এটা আমি জানি। তবে তার সঙ্গে যেটা হয়েছে এটা অমানবিক। যেসব নম্বর থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে সেসব নাম্বার বর্তমানে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
বুধবার সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে আটক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। পরে কয়েক দফায় মারধর করা রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নয়াশতাব্দী/ইএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ