বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছন, দেশের আগামীর কর্মকান্ড কোন ফ্যাসিবাদী শক্তি বা পরিবারতন্ত্রের পক্ষ থেকে নয় বরং ছাত্র-জনতার রায়ের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন থেকে যা কিছু হবে ছাত্র-জনতার রায়ের মাধ্যমে হবে। কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির পক্ষ থেকে নয়, কোনো পরিবারতন্ত্রের পক্ষ থেকে নয়’।
আজ শনিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহিদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং দূর্নীতি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে এসে আভিযোগ পেয়েছেন এখানে মামলা নিয়ে খেলা চলছে এবং টাকার বিনিময়ে মামলায় নাম দেওয়া বা মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে।
‘সব জায়গায় টাকা দিতে হয়, টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এসব আর করতে দেওয়া হবে না’ বলে উল্লেখ করেন সারজিস আলম।
তিনি এ সময় উপস্থিত সকলের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, এই জন্যই কি ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছিল?
রাষ্ট্রের সংস্কার প্রসংগে সারজিস আলম বলেন, এই সংস্কার ঘর থেকে শুরু হয়ে জেলায়, জেলা থেকে বিভাগে, বিভাগ থেকে রাষ্ট্রে পৌঁছাবে। আর তখনই আমরা আমাদের দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নিজেদের পরিবার সংস্কার করতে হবে। আলাদা পেশায় যোগদানের পাশাপাশি ভালো রাজনীতিবিদও হতে হবে, বলেন তিনি।বৈষম্যবিরাধী ছাত্রআন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ইতিহাসের সামনের সারিতে ঠাকুরগাঁও জেলা থাকবে। কেননা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এ জেলার মানুষ। মিছিল-মিটিংসহ রণক্ষেত্রে পরিণত হলেও তারা পিছপা হননি।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মেম্বার থেকে সংসদ সদস্য একই পরিবারের উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, দবিরুল এমপি তার এলাকায় পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছে। সব জায়গায় তার পরিবারের সদস্য। এসব করেই জায়গা-জমি দখল করে নিয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নিরাপত্তার প্রসংগে তিনি বলেন, সীমান্তে ফেলানীর মতো আর কাউকে দেখতে চাই না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সজিব ভূইয়া, জহির রায়হান, আবু সাঈদ স্বপনসহ স্থানীয় ছাত্র-জনতা। সূত্র- বাসস
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ