ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রাস্তার নাম হলো ‘শহীদ ফেলানি সড়ক’

প্রকাশনার সময়: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৯

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ঢাকার গুলশানে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়ককে ‘শহীদ ফেলানি সড়ক’ ঘোষণা করা হয়। সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ওই নামফলক স্থাপন করে পিপলস অ্যাক্টিভিস্ট কোয়ালিশন (প্যাক) নামে একটি সংগঠন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকে কিছু মানুষ। ওই সড়কে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা অবস্থান নিয়ে জনগণ এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্যাকের নেতাকর্মীরা নামফলক স্থাপন করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে সড়কে শহীদ ফেলানি সড়ক লেখা একটি নামফলক স্থাপন করা হয়।

নামফলক স্থাপন শেষে রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আহমেদ ইসহাক সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে এ রাস্তার নাম শহীদ ফেলানী সড়ক করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে। এ রকম পররাষ্ট্রনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা অনেক লোক জমায়েত করতে পারতাম। ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে বড় জমায়েত করিনি। আমরা দূতাবাসের সামনেও যাইনি। নামফলক স্থাপন করে সবাই চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ বাধা দিয়েছে।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারত থেকে বাবার সঙ্গে দেশে ফেরার পথে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় ১৫ বছরের ফেলানি। ফেলানির লাশ কাঁটাতারে চার ঘণ্টার বেশি সময় ঝুলে ছিল। কাঁটাতারে ঝুলে থাকা সেই কিশোরীর লাশ আলোড়ন তুলেছিল দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ