প্রায় ১০ দিন ধরে চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের ফলে আশুলিয়ায় অনেক পোশাক কারখানায় ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার পর্যন্ত ৭৯টি কারখানা বন্ধ ছিল। মালিকপক্ষ আশঙ্কা করছে যে, এ বিক্ষোভ শিল্পখাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে, শ্রমিক নেতারা দাবিগুলোর প্রতি সংবেদনশীলতা দেখিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, পরিস্থিতির ঘোলাটে হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন এবং তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন রয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর) থেকে ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ায় খুলে দেয়া হবে সব তৈরি পোশাক কারখানা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা বিজিএমইএ ভবনে পোশাক খাতের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মালিক, শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরি বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বন্ধ থাকা রফতানিমুখী সব তৈরি পোশাক কারখানা। শ্রমিকদের দাবি মেনে তাদের টিফিন বিল ও হাজিরা বোনাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পোশাক কারখানায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও নারী ও পুরুষ সমান অধিকার পাবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেন, বর্তমানে শ্রমিকরা যে হাজিরা বোনাস পায়, তার সঙ্গে বাড়তি যোগ হবে ২২৫ টাকা। আর টিফিনেও ১০ টাকা বাড়তি যোগ হবে।
এর আগে, গত শুক্রবারও দফায় দফায় এমন বৈঠক শেষে জানানো হয়েছিল, পরদিন থেকে খোলা থাকবে শ্রমিক অসন্তোষের মুখেপড়া কারখানাগুলো। যদিও পরবর্তীতে আবারও নানা শঙ্কায় কারখানার চাকা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন উদ্যোক্তারা।নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ