ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে পারেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন বলে ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন তিনি।
ঢাকায় নিজ সরকারি বাসভবনে ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া ওই শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস বলছে, সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন তিনি।
মূলত এ মাসের শেষ দিকে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে সার্ক রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও একটি ফটোসেশনে যোগ দেয়ার চেষ্টা করবেন বলেও জানান ড. ইউনূস। এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নিশ্চয়ই, আমরা সাক্ষাতের চেষ্টা করব (ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি)। যদি সার্কের সব রাষ্ট্রপ্রধান একত্র হন ও ফটোসেশনে অংশ নেন, আমি চেষ্টা করব (তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের)।
সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) বিষয়ে তিনি বলেন, 'সার্ক এক মহৎ উদ্দেশে গঠিত হলেও এটি এখন শুধু কাগজে সীমাবদ্ধ এবং এটি এখন কাজ করছে না। আমরা সার্কের নাম ভুলে গেছি; আমি সার্কের চেতনার পুনরুজ্জীবন ঘটানোর চেষ্টা করছি।’ আঞ্চলিক জোট সার্কের সদস্যদেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এদিন ড. ইউনূস বলেন, ‘দীর্ঘদিন সার্ক শীর্ষ সম্মেলন হয়নি। আমরা যদি একত্র হতে পারি, তবে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।’
শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখ করেন, সার্কের অনুরূপ লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে এ জোট অনেক কিছু অর্জন করেছে। একই রকম অর্জন এখনো করতে পারেনি সার্ক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে ইউরোপের দেশগুলো অনেক কিছু অর্জন করেছে। সার্কের কাজ করার বিষয়টি আমাদেরও নিশ্চিত করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে তাকান, কত সুন্দরভাবে এটি কাজ করছে। পাকিস্তানকে নিয়ে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তবে অন্য পথ খুঁজে বের করা যেতে পারে। কিন্তু সার্কের কার্যক্রম অবশ্যই থামানো উচিত নয়।’
২০১৬ সাল থেকেই খুব একটা কার্যকর নেই সার্ক। ওই বছর পাকিস্তানে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও একই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনা ফাঁড়িতে হামলার পর ভারত ওই সম্মেলনে যোগ দেবে না বলে জানায়। পরে সম্মেলনটি বাতিল হয়ে যায়। সর্বশেষ তখন থেকেই এটি আর খুব একটা কার্যকর নেই।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের ৭৯তম এ অধিবেশন ২৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
নয়াশতাব্দী/ইএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ