বিশেষ কোনো সুবিধা নয়, আইনি প্রক্রিয়ায় সব মামলা থেকে দায় মুক্ত হয়ে দেশে ফিরতে চান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি নেতার আইনজীবীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। আর সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করে ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ আদালতে আইনি লড়াইয়ে গেলেই গ্রেনেড হামলার মামলায় দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মুক্তি পেতে পারেন তিনি।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মামলা থেকে মুক্ত হতে দেশে ফিরে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে তারেক রহমানকে। তবে ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালতও এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মনে করেন তারা।
গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন মুক্তি দেয়া হয় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। এরপর একে একে জামিনে জেল থেকে বের হন কারাবন্দি বিএনপির নেতারা। তবে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা নিয়ে নেই তেমন কোনো অগ্রগতি।
১৬ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন তারেক রহমান। ওয়ান ইলেভেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা হয়। এরমধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচটি মামলায় দেয়া হয় সাজা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন এ প্রশ্ন উঠেছে।
আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলছেন, বিশেষ কোনো সুবিধায় নয়, আইনি প্রক্রিয়ায় নির্দোষ প্রমাণ করে মামলা থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরতে চান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের পাসপোর্ট নবায়ন করতে দেয়নি শেখ হাসিনা। তারেক রহমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যে কারণে ওনার বিরুদ্ধে যেসব মামলার রায় হয়েছে সেগুলো তিনি আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন। আর যেগুলোর রায় হয়নি সেগুলোর বিষয়ে আইনিভাবে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাজাহান বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব মামলার রায় হয়েছে সেগুলোতে তিনি আপিল করতে পারেননি। কারণ তার আগে থেকেই তিনি লন্ডনে। এখন কোর্টের কাছে মুক্তি চাইতে হলে আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে। ফলে তাকে আগে দেশে আসতে হবে।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তারেক রহমান। সেখান থেকেই দলকে সংগঠিত করে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ