কোনো সংকট না থাকলেও আবারও বাড়ল চালের দাম। ১০ দিনের ব্যবধানে ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় চালের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এরমধ্যে বন্যায় ত্রাণ হিসেবে চাহিদা বাড়ায় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। একইসঙ্গে দেশের উত্তর এবং দক্ষিণাঞ্চলের মোকামগুলোতে ধান ও চালের মজুত গড়ে তুলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় বেশকিছু ধানের মাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকদিন পর ধান ঘরে তোলার কথা ছিল কৃষকদের, কিন্তু আউশ ধান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর তাতে দাম বেড়েছে ধানের। এর প্রভাব পড়েছে চালেও। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে আউশ ধান খুব বেশি চাষ হয় না, তাও আউশ ধান ঘরে তোলার কথা মাস খানেক পর, তাই এখনই ধান নষ্টের প্রভাব চালের দামে পড়ার কথা না।
ভোক্তাদের দাবি, চট্টগ্রাম ও আশপাশে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ হিসেবে বিতরণের কারণে মোটা চালের চাহিদা বেড়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোটা চালসহ প্রায় সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ২ থেকে চার টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
দেশে বন্যা দেখা দেওয়ার আগে, অর্থাৎ গত ২০ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রামের বাজারে সাধারণ মানের মোটা সিদ্ধ ৫০ কেজির প্রতি বস্তা চাল বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকা দরে। কিন্তু এখন সেই চালের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। একইভাবে ২ হাজার ২০০ টাকার গুটি স্বর্ণা ২ হাজার ৬০০ টাকা, ২ হাজার ৫০০ টাকার নূরজাহান স্বর্ণা ২ হাজার ৮০০ এবং ৩ হাজার ২৫০ টাকার ঝিরাশাইল ৩ হাজার ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি বেড়েছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে, সিদ্ধ চালের মতো অবস্থা আতপ চালের বাজারেও। ১ হাজার ৯০০ টাকার ইরি আতপ ২ হাজার ৪০০ টাকা, ২ হাজার ৫০০ টাকার বেথি ২ হাজার ৮০০ টাকা এবং ৩ হাজার ২০০ টাকার কাটারী ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম পাহাড়তলী ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মো. জাফর আলম বলেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে এলসি খুলে রাখা যেতে পারে। এতে করে দেশে চালের সংকট দেখা দিলে বা দাম বেড়ে গেলে বাইরে থেকে সহজেই চাল আমদানি করা যাবে। পাশাপাশি বাড়াতে হবে মনিটরিং। তা না হলে লাগামহীন হয়ে পড়তে পারে চালের বাজার।
নয়াশতাব্দী/ইএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ