বিনা অপরাধে দীর্ঘ ৮ বছর ‘বন্দিশালা’ নামের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন তিনি মুক্তি পান। ৬ আগস্ট দিবাগত রাতে তাকে রাজধানীর বাইরে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী বলেন, আমার অপরাধ আমি অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানা হত্যাকাণ্ড বিচার ও সীমান্তে ফেলানী হত্যার ঘটনায় ভারতের বিরোধিতা করা এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আযমের ছেলে হওয়ার কারণে তাকে গুম করা হয় বলেও অভিযোগ করেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
বিডিআর বিদ্রোহে যেসব সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি জানান তিনি।
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের ঘটনা বিস্ময়কর উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের সব উপদেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে গুম, খুব, হত্যাসহ সব ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন আমান আযমী।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আপনারা নির্বাচনের জন্য কোনো ধরনের চাপ দিবেন না। তারা যথাযথ সময়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।
বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর এ কয়দিন তিনি চিকিৎসাসেবা নিচ্ছিলেন। বর্তমানে তিনি সুস্থবোধ করছেন। এরপরই সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি ।
নয়াশতাব্দী/ইএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ