মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও অনেকটাই কমে গেছে। দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলেই সেই অর্থে বৃষ্টির দেখা মিলছে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আরো অন্তত তিন-চার দিন বৃষ্টিপাত একই রকম কম থাকতে পারে সারা দেশে। তবে আগামী মঙ্গল বা বুধবার থেকে আবারও দেশের কোনো কোনো অংশে বৃষ্টি বাড়তে পারে।
আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) এমন গরম থাকতে পারে; সঙ্গে দেশের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। অবশ্য আগামী দু-একদিনে খুব বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন শুক্রবার রাতে বলেন, ভারতের গুজরাটে একটি ঘূর্ণিঝড় (আসনা) তৈরি হয়েছে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে গিয়ে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে কিছুটা মিলিত হতে পারে। এ ছাড়া পশ্চিম-মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করছে। এটিও ধীরে ধীরে স্থলভাগে উঠে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হতে পারে
এরপর আগামী সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃষ্টি আবারও বাড়তে পারে এবং টানা কয়েক দিন বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এতে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর থেকে শনিবারের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টিপাত চলতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে এই সময়ে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। এরপর আগামী সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বেশি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এই মুহূর্তে মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় রয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি কমে গেছে। তবে আগামী সোমবারের মধ্যে মৌসুমি বায়ু আবারও শক্তি অর্জন করতে পারে। এতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে, যা কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার দেশের বেশির ভাগ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। অর্থাৎ তাপপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে। সিরাজগঞ্জের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। এদিন সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রাঙামাটিতে; ২৭ মিলিমিটার। চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ৬ মিলিমিটার। দেশের বাকি এলাকায় বৃষ্টি হয়নি। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল প্রায় ৯০ শতাংশ। এ ধরনের আর্দ্রতায় গরমের অনুভূতি বেশি হয়। আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার একই ধরনের গরমের কষ্ট অনুভূত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শুক্রবার দেশের সব নদ–নদীর ১১৬টি পয়েন্টের মধ্যে ১৬টিতে পানি বেড়েছে। বাকিগুলোতে কমছে। সবকটি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ