মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে

প্রকাশনার সময়: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৬

দেশের ১১টি জেলায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে; এসব জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৪ লাখের বেশি মানুষ। শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বন্যায় মৃত্যু ও ক্ষতিগ্রস্তদের এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারের ৬৪টি উপজেলা বন্যা প্লাবিত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন বা পৌরসভার সংখ্যা ৪৮৬টি। ১১ জেলায় অন্তত ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে; আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার ১৬৭ জন মানুষ। সবচেয়ে বেশি ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ফেনীতে।

এছাড়া কুমিল্লায় ১৪ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, খাগড়াছড়িতে ১ জন, নোয়াখালীতে ৮ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন, লক্ষ্মীপুরে ১ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং মৌলভীবাজারে ১ জন মারা গেছেন; নিখোঁজ রয়েছেন একজন। আগের দিন বন্যায় ৫২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। আর ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা জানিয়েছিল ৫৫ লাখের বেশি।

উজানের তীব্র ঢল এবং অতি ভারি বৃষ্টির কারণে গত ২০ আগস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। পরে দ্রুতই তা ছড়িয়ে যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে। মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে পানিবন্দি-ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দুর্গত এলাকাগুলো ৩ হাজার ২৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮৭ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আর ৩৮ হাজার ১৯২টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে এসব এলাকায় ৫৬৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এদিকে বৃষ্টিপাত কমে দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। কেন্দ্রের সকাল ৯টার বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের উজানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত কেবল মুন্সীগঞ্জের ভাগ্যকূল স্টেশনে ৫৪ মিলিমিটার নথিবদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া এই সময়ে অন্য কোথাও উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত নেই। কেন্দ্র বলছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের মনু নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অন্যান্য প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে এ অঞ্চলের মনু, খোয়াই, ফেনী, মুহুরি, গোমতী, তিতাস ইত্যাদি নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই। এ সময় এ অঞ্চলের সাঙ্গু, মাতামুহুরি, কর্ণফুলী, হালদা ও অন্যান্য প্রধান নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।

শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় গঙ্গা নদীর পানি সমতল উজানে ফারাক্কা পয়েন্টে অপরিবর্তিত আছে (২২ দশমিক ৮২ মিটার) এবং দেশের অভ্যন্তরে সীমান্তবর্তী পাংখা পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমেছে (২০ দশমিক ৫১ মিটার)। ব্যুরো প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো আরও খবর—নোয়াখালীতে এখনো ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি

নোয়াখালীতে দুই দিন থেকে বৃষ্টি না হলেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খালের বাঁধ কেটে দিলেও পানি নামছে খুবই ধীরগতিতে। এখনো প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দা পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। বেশির ভাগ মানুষের ঘরবাড়ি ডুবে আছে। তাদের মধ্যে আতঙ্কে রয়েছেন অনেকে। আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে এখনো ২ লাখের বেশি মানুষ ঠাঁই নিয়েছে। নোয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান জানান, শুক্রবার পর্যন্ত জেলার ৮ উপজেলার ৮ পৌরসভা ও ৮৭ ইউনিয়নে ২০ লাখ ২০ হাজার ৩০০ জন পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও বানবাসি মানুষের ভিড় বেড়েই চলছে। সেখানে এখন তিল ধারণের জায়গা নেই। সব মিলিয়ে পানিবন্দি ও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের দুঃখ-কষ্ট আর দুর্ভোগের শেষ নেই। শুক্রবার পর্যন্ত জেলার ১ হাজার ৩৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৩ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহিদ হাসান খান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘সরকারি ত্রাণ সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত ৭৯৮ টন চাল, ৩০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা এবং ১১০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

মুহুরি প্রজেক্টে মাছ ধরার ‘উৎসব’

ফেনীর হ্যাচারি মালিকদের কথার সত্যতা মেলে সোনাগাজী উপজেলার ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ক্লোজার গেট এলাকায় গিয়ে। ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ক্লোজার গেটটি সাধারণের কাছে ‘মুহুরি প্রজেক্ট’ নামে পরিচিত। নদীর এক প্রান্তে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা আর অন্য প্রান্তে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারৈয়াহাট। ৪০টি রেগুলেটরের গেট বন্ধ করে রেখে শুকনো মৌসুমের জন্য পানি আটকে রাখা হয় নদীতে। যে পানি দিয়ে শুকনো মৌসুমে চাষাবাদ হয় ফেনীতে।

নদীর দুই প্রান্তে ক্লোজার গেট সংলগ্ন এলাকায় এখন চলছে মাছ ধরার উৎসব। ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা ছাড়াও চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সেখানে মাছ ধরতে যান বিভিন্ন বয়েসি লোকজন। নদীতে খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে মাছ ভেসে যাওয়ার দৃশ্য।

মুহুরি প্রজেক্টের গেট অপারেটর নূর মোহাম্মদ বলেন, স্বাভাবিক সময়ে এ গেটের পাশে মাছ পাওয়া যায় না। এখন নদীতে প্রচুর মাছ ভেসে আসছে। বন্যায় সব মাছের ঘের শেষ। মাছ চাষিরা পথে বসে গেছে। সব মাছ নদীতে ভেসে আসছে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে জাল নিয়ে মাছ ধরতে আসে নদীতে। তারা প্রচুর মাছ পাচ্ছে, কাউকে মাছ ধরে বিক্রি করতে আবার কাউকে ঘরে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।

মুহুরি প্রজেক্টে মাছ ধরতে গেছেন মো. মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘যেভাবে মাছ ভেসে যাচ্ছে সবাই ধরতে আসছে। তাই আমিও বারৈয়াহাট থেকে এসেছি। প্রায় ১০ বছর জাল মারি না। এখন অনেকের সঙ্গে আমিও আসছি জাল মারতে।’ সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়া রুবেল। কয়েক বন্ধু মিলে মিরসরাই থেকে মুহুরি প্রজেক্টে গেছেন মাছ ধরতে। তিনি বলেন, ‘এখন কোনো কাজ নাই। তাই বন্ধুরা মিলে মাছ ধরতে আসলাম। জালে মাছ আসছে তাই ভালো লাগছে। আগে কখনো এভাবে মাছ ধরিনি নদীতে।’ জালের পাশাপাশি অনেককেই দেখা গেছে ঝুড়ি বানিয়ে মাছ ধরতে। গেটের পানি নামার স্থানে ঝুড়ি বসিয়ে রেখে তারা নিজেদের মতো করে গল্প করছেন। স্রোতের পানিতে মাছ উঠছে ঝুঁড়িতে।

কুমিল্লায় বাড়ছে রোগবালাই

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করায় পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে কমেনি মানুষের দুর্ভোগ। সেইসঙ্গে দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত নানা রোগবালাই। শুক্রবার সরেজমিন বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চৌদ্দগ্রাম সদরের মানুষের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামে রাস্তাঘাট, বাড়িঘরে এখনো পানি আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে চৌদ্দগ্রামে একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছিলেন আড়াই লাখের বেশি মানুষ। উপজেলার ২৯টি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন বন্যাকবলিত ২০ হাজার মানুষ। পানি কমার পর তারা ফিরতে শুরু করেছেন বাড়িতে।

পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে ভেসে উঠছে ময়লা-আবর্জনা। ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ। তার মধ্যে ডায়রিয়াসহ নানা চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বানভাসিরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। দূষিত পানি পান ও বন্যার পানিতে চলাফেরার কারণে ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটে ব্যথা, জ্বরের পাশাপাশি চর্মরোগ, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ও চোখের প্রদাহের রোগীর সংখ্যাই বেশি। আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও রোগীদের ভিড় লেগে রয়েছে। এরই মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে ভর্তি আছেন ৬০ জন। এরমধ্যে ১৬ জন পুরুষ, ২০ জন নারী ও ২৪ জন শিশু। তাদের ৩৬ জনই ডায়রিয়া আক্রান্ত। শিশুদের বেশিরভাগই ভুগছে ডায়রিয়ায়। চৌদ্দগ্রামের মুন্সিরহাট এলাকার নূরজাহান আক্তার তার ৩ বছর বয়সি মেয়ে আদিবাকে নিয়ে বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, বন্যার পানিতে সাত দিনের বেশি ঘরবন্দি ছিলাম। মঙ্গলবার দুপুর থেকে মেয়ের ডায়রিয়া শুরু হয়। পরে পানি অতিক্রম করে তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু অতিরিক্ত রোগীর চাপে ডায়রিয়ার কোনো ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষের দুর্ভোগ চরমে।

আবুল বাশার নামে একজন বলেন, চার মাস বয়সি সন্তানকে নিয়ে সোমবার থেকে এ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ছয় দিনের বেশি সময় ধরে পুরো পরিবার পানিবন্দি ছিলেন। এর মধ্যে তাদের শিশুটি এলার্জি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স হাসিনা বেগম বলেন, হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৬০ জন রোগীর অধিকাংশই বন্যাকবলিত এলাকা থেকে আসা। রাত হলেই রোগীদের চাপ বাড়তে থাকে। ভর্তিদের অধিকাংশ ডায়রিয়া আক্রান্ত। যার মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। এদিকে গত বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন অর্ধশতাধিক রোগী।

বহির্বিভাগের চিকিৎসক সামছুল ইসলাম রানা জানান, বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়াসহ পানি প্রবাহিত রোগীদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

চৌদ্দগ্রাম করপাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হোসনা আক্তার বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করার সময় দেখেছি, বন্যাকবলিত এলাকার পানি ময়লা। এখন আমার এলার্জি সমস্যা দেখা দিয়েছে। ডাক্তার বলেছে, বন্যার পানিতে নামার কারণে এ সমস্যা হয়েছে।

উপজেলার রাজাপুর আশ্রয়কেন্দ্র ক্যাম্পের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা বন্যার শুরু থেকে উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্পে চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া, চর্ম ও শ্বাসকষ্টের রোগী বেশি হচ্ছে। পুরুষ, মহিলার তুলনায় শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি।’ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দিন যত যাবে, রোগীদের সংখ্যা তত বাড়তে পারে।

ওষুধ সংকট সম্পর্কে তিনি বলেন, বন্যায় পুরো হাসপাতালটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্টোর রুমে যত ওষুধ ছিল সব পানিতে নষ্ট হয়েছে। যার কারণে ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ