মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

অপেক্ষায় আটকা স্বজনের দৃষ্টি

প্রকাশনার সময়: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৫

বাংলাদেশে গত ১৭ বছরে গুমের শিকার হয়েছেন ৬২৯ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া এসব মানুষের একটি বড় অংশই ফিরে আসেননি। তাদের অপেক্ষায় দিন কাটছে স্বজনদের। আর দীর্ঘদিন অজ্ঞাত স্থানে রাখার পর যারা ফিরে এসেছিলেন, তারাও ‘টুঁ’ শব্দটি করেননি; মুখে ছিপি এঁটে রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। দেশের এমন অবস্থায় আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। সারা বিশ্বে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে দিবসটি পালিত হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স এগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়্যারেন্স’ সম্মেলনে যে আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয় তাতে ৩০ আগস্টকে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস বলে ঘোষণা করা হয়। ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর ৩০ আগস্ট গুম হওয়া মানুষগুলোকে স্মরণ এবং সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য দিবসটি পালন করা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। আর গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাকর্মীর পাশাপাশি আছেন সাধারণ লোকজনও। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বদলে যায় প্রেক্ষাপট। গুমের পর ‘আয়নাঘর’ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিরা তাদের নৃশংস নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান। তাকে তুলে নিয়ে আলোচিত আয়নাঘরে দুবার আটকে রাখা হয়েছিল। ২০১১ ও ২০১৮ সালে কেন ভয়াবহ ওই বন্দিশালায় নেয়া হয়েছিল জানালেন হাসিনুর রহমান। পাশাপাশি বলেছেন গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের কারা গুম করে এবং কোথায় রাখে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করার জন্য আমাকে টার্গেট করা হয়। বিডিআর ইস্যুতে আমি কথা বলতাম। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ইস্যুতে শেখ হাসিনা নিজে জড়িত। তার সঙ্গে থাকা লোকজনও দায়ী। বিডিআরের ঘটনার পর সেনাবাহিনীর ৯০-৯৫ শতাংশ লোক শেখ হাসিনা সরকারকে ঘৃণা করত। বাকি ৫ শতাংশ যারা তাকে চাইত, তারা হলো অসৎ জেনারেল। র‍্যাবে থাকার সময় আমাকে প্রতিবেশী একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমি তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলাম। সেনাবাহিনীতে থাকাকালে ২০১১ সালে প্রথমবার আমাকে এসব কারণেই গুম করা হয়। প্রথমবার ক্যু করব বলে ধারণা থেকে গুম করে আমাকে ৪৩ দিন আটক রাখে। পরে সাবেক এক সেনাপ্রধানের সমালোচনা করে দেয়া এক নেতিবাচক পোস্ট শেয়ার করার শাস্তি হিসেবে আমাকে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর মিরপুর ডিওএইচএস থেকে আটক করা হয়।

আয়নাঘরে নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘তুলে নেয়ার পর প্রথম দিন আমাকে নির্যাতন করে প্রায় অজ্ঞান করে ফেলে। ওই বছর নির্বাচন হওয়ার পর ভেবেছিলাম আমাকে ছেড়ে দেবে। কিন্তু দেখলাম ছাড়ার কোনো লক্ষণ নেই। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আমাকে ছাড়া হয়।’

এদিকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধানে অন্তর্বর্তী সরকার একটি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৮ ও ২৯ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে পুলিশ ও র‍্যাবের বিরুদ্ধে মামলা করেন গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার ও স্বজনরা। সর্বশেষ, গত ১৪ বছরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর হাতে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধানে অন্তর্বর্তী সরকার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করেছে।

কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন। তিনি বলেন, গুমের শিকার হয়ে যারা ফিরে আসেননি, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া; যাতে গুম হওয়া ব্যক্তিরা ফিরে আসেন কিংবা তাদের জীবনে যা ঘটেছে, তা জানা যায়। এরই মধ্যে সরকার কমিশন গঠন করেছে। এটার মধ্য দিয়ে আশা করি যে বিষয়গুলো এখনো উদঘাটন হয়নি, সেই বিষয়ে আমরা অনেক কিছু জানতে পারব।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’র সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলির ভাই সাজেদুল ইসলাম সুমনকে ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি তার। সানজিদা বলেন, কোনো তথ্য যাতে গোপন করা না হয়, এটা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবেদন কমিশনের কাছে। আশা করব, এই স্বচ্ছতা আমাদের সঙ্গে থাকবে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান বলেছে, ১৭ বছরে (২০০৭-২০২৩) গুমের শিকার হয়েছেন ৬২৯ জন। এর মধ্যে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে ৬২ জনকে। ৭৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এখনো নিখোঁজ ৩৮৩ জন। ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি ৯৭ জন গুম হন।

আসকের পরিসংখ্যান বলেছে, ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ২১ জন গুম হন। ২০১০ সালে ৪৭ জন, ২০১১ সালে ৫৯ জন, ২০১২ সালে ৫৬ জন, ২০১৩ সালে ৭২ জন, ২০১৪ সালে ৮৮ জন, ২০১৫ সালে ৫৫ জন, ২০১৬ সালে ৯৭ জন, ২০১৭ সালে ৬০ জন, ২০১৮ সালে ৩৪ জন, ২০১৯ সালে ১৩ জন, ২০২০ সালে ৬ জন, ২০২১ সালে ৭ জন, ২০২২ সালে ৫ জন ও ২০২৩ সালে ৯ জন গুমের শিকার হন।

আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির (ফরিদ) বলেন, ২০০৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গণমাধ্যম ও নিজস্ব অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমরা ৬২৯ জনের গুমের বিষয়ে তথ্য পেয়েছি। গুমের পর কিছু মানুষ ফিরে এসেছেন, কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আবার অনেকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮৩ জন এখনো নিখোঁজ। নিখোঁজের অর্থ হচ্ছে তারা ফিরে আসেননি কিংবা ফিরে এলেও আমাদের কাছে তার তথ্য নেই।

মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন, কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো সত্য উদঘাটন করা। গুম মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। গুমকে যদি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কেউ ব্যবহার করে, সেটি আরো অনেক বড় অপরাধ। অভিযোগের দায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এড়াতে পারবে না। যারা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারলে দৃষ্টান্ত তৈরি হবে। বাংলাদেশে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করার দুঃসাহস করবে না কেউ।

এদিকে গত ২৭ আগস্ট কমিশন গঠন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্তে কমিশনটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত করবে।

আওয়ামী লীগের গত ১৬ বছরের শাসনামলে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর বিরুদ্ধে অসংখ্য ব্যক্তিকে গুম, বিনাবিচারে ক্রসফায়ারের অভিযোগ ছিল। কিন্তু ওই সময় সরকার বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কয়েক ব্যক্তি আয়নাঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী, মীর কাশেম আলীর ছেলে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আহমেদ বিন কাশেম আরমান, পার্বত্য চট্টগ্রামকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা। তিনজনই বলেন, তাদের যেখানে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, সেখানে সূর্যের আলো দূরের কথা, কোনো আলোই ছিল না। বেশির ভাগ সময় তাদের হাত বাঁধা ও চোখে পট্টি লাগানো থাকত।

গত ১৮ আগস্ট প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালকের কাছে বিভিন্ন সময় গুমের শিকার ১৫৮ ব্যক্তির একটি তালিকা দেয় মায়ের ডাক। ডিজিএফআইয়ের কার্যালয়ে গিয়ে এই তালিকা দিয়ে সংগঠনের সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক কারণে ২০১৩ সাল থেকে শুরু করে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত ব্যক্তিকে গুম ও খুন করা হয়েছে, তা তদন্ত করতে হবে। এসব ঘটনার সঙ্গে ডিজিএফআই, র‍্যাব, পুলিশ, ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব কর্মকর্তা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

গত ২৭ আগস্ট যশোরের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) ও বর্তমান রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিকদার আক্কাস আলী ও উপপরিদর্শক আবু আনসারসহ পুলিশের সাত সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। যশোর সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামের বিএনপিকর্মী মাসুদকে বাড়ি থেকে পুলিশের গাড়িতে তুলে গুম করার অভিযোগে ৯ বছর পর তার মামা কুদ্দুস আলী মামলাটি করেন। পরে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য ওসি কোতোয়ালিকে নির্দেশ দেন আদালত। যশোরে রেজোয়ান নামের এক কলেজছাত্রকে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে আট বছর পর তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন তার ভাই রিপন হোসেন। গত বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিরা হলেন- বেনাপোল পোর্ট থানার সাবেক ওসি অপূর্ব হাসান, ওসি (তদন্ত) খন্দকার শামীম আহমেদ ও এসআই নূর আলম।

বাংলাদেশে গুম বা নিখোঁজ হওয়ার পর যারা ফিরে আসেন তারা প্রায় কেউই আর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন না। অনেকেই ট্রমায় ভুগছেন। তাদের নিখোঁজের কথা জানতে চাইলে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

‘ব্যক্তির দায় বাহিনী নেবে না’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যারা এতদিন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, বঞ্চনার শিকার হয়েছেন, বিনাবিচারে আত্মীয়স্বজন গুম, খুন হয়েছেন তারা ন্যায়বিচার পাওয়ার আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। এটাকে গুড ইনিশিয়েটিভ হিসেবে দেখতে পাচ্ছি অবশ্যই।’ কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো সত্য উদঘাটন করা। এ লক্ষ্যে কমিশনের যা যা করণীয় তারা সেটি করবেন বলে মনে করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তবে ব্যক্তির দায় বাহিনী নেবে না বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা।

প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান

গুম ও অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের জীবিত ফেরত ও নির্যাতনের বিচার পেতে প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। গত ২৮ আগস্ট গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের পক্ষে মো. বেল্লাল হোসেনের সই করা ওই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্কতা মো. শফিকুল ইসলাম। স্মারকলিপিতে বলা হয়, স্বজনহারা পরিবার দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন করেও কোনো সুফল পাননি। ইতিমধ্যে গোপন ডিটেনশন সেল থেকে অনেক মানুষ মুক্তি পেয়েছে। তাই তারাও তাদের স্বজনদের সম্পর্কে জানতে চান। স্বজনদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন স্মারকলিপিতে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ