মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

আমরা দুজনই কোটা আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম :আনিসুল হক

প্রকাশনার সময়: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫০ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১১:০৪

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রিমান্ড শুনানি চলাকালে আদালতকে বলেছেন, আমরা দুজনই (আমি ও সালমান এফ রহমান) কোটা আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। আমি নির্দোষ। ঘটনার বিষয় কিছুই জানি না। আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই।

শুনানি শেষে তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই রেজাউল আলম উল্লেখ করেন, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক মামলার এজাহারনামীয় ৪ ও ৫ নং আসামি। এজাহারে বর্ণিত সহিংস ঘটনার বিষয়সহ ভিকটিম মো. সুমন সিকদারকে (৩১) হত্যার ঘটনা তারা অবগত আছেন। এছাড়া তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের উস্কানি দেওয়াসহ গুলি করে লোক হত্যার নির্দেশ প্রদান করিয়াছে মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

এর আগে গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন বুধবার নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাদের দুজনের দশদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।

প্রথম দফার রিমান্ড শেষে গত ২৪ আগস্ট তাদের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এরপর নিউমার্কেট থানার পৃথক দুই মামলায় দশদিন করে বিশদিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক দুই মামলায় পাঁচদিন করে দশদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাড্ডায় ফুজি টাওয়ারের সামনে গুলি মো. সুমন সিকদারকে (৩১) হত্যা করা হয়। নিহতের মা মাসুমা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকেও আসামি করা হয়।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ