কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গত ৪৬ বছরে বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্ক ও সহযোগিতা অনেক দূর এগিয়েছে, পৌঁছেছে অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার এখন চীন। দেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে আর্থিকসহ নানা ধরনের সহায়তা করছে দেশটি।
চীনের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আজ বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
সুদূর অতীত থেকেই প্রাচীন চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আধুনিককালে বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমে দু’দেশের যোগাযোগ গড়ে ওঠে। ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফরে গিয়েছিলেন তিনি। চীনা প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু।
ঢাকা-বেইজিং বাণিজ্য সম্পর্ক দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমদানির সবচেয়ে বড় উৎস এখন চীন, তবে ব্যাপক বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে বাংলাদেশ। এ অবস্থা কমিয়ে আনতে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে উভয় দেশকে।
স্ট্র্যাটেজিক ইস্যু হিসেবে নিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানবিক কারণে তাদের দ্রুত মিয়ানমারে ফেরাতে বেইজিংয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বক্তব্য রাখেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ