মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

আনসারে বিদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশনার সময়: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ২২:৪৭ | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ২২:৫১

আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হয় মন্ত্রিসভা। খসড়া অনুযায়ী, আনসারে বিদ্রোহ সংঘটন, প্ররোচনা ও এ–সংক্রান্ত অপরাধ করলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।

গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ আইনের খসড়া অনুমোদন করা হয়।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

আনসার ব্যাটালিয়নদের অভ্যন্তরীণ অপরাধের বিচার হবে দুটি আদালতে। এগুলোর মধ্যে একটি হবে ‘সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে’। এর প্রধান হবেন একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালক। আরেকটি হবে ‘বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত’। এর প্রধান হবেন আনসারের মহাপরিচালক।

বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইনের সংশোধিত খসড়া নিয়ে আলোচনার সময় ভুয়া সনদের বিষয়টি আসে। বৈঠকে এ (বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন) আইনের সংশোধিত খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে রিক্রুটিং এজেন্ট যারা আছেন তারা এখন থেকে সাব-এজেন্ট রাখতে পারবেন। এ ব্যবস্থা বর্তমানে থাকলেও তা আইনের মধ্যে নেই। এখন বিষয়টিকে আইনের আওতায় আনা হলো বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি জানান, রিক্রুটিং এজেন্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে প্রমাণসাপেক্ষে তাদের লাইসেন্স বাতিল, স্থগিত এবং সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন-২০২৩’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন প্রসঙ্গে ২০২২ সালের ২৮ মার্চ আইনটি মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল। আগের এ আইনে বড় একটা গ্যাপ ছিল। কিছু ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান ছিল না। বিদ্রোহ কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। সেগুলোকে সুনির্দিষ্ট করে আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে- বিদ্রোহ সংঘটন, তাতে প্ররোচনা, বিদ্রোহের কারণ সৃষ্টি, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়া, যোগদান করা ইত্যাদি গুরুতর অপরাধের বিচার হবে বিশেষ আনসার আদালতে। এই ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে শুরু করে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের অপরাধের বিচার হবে এ বিশেষ আদালতে। এসব আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করারও সুযোগ আছে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ