দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে র্যাগিং প্রতিকারে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠনের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আজ বুধবার (২১ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০১৯ সালের গত ৯ অক্টোবর র্যাগিং বন্ধ ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর আইনি নোটিশ প্রেরণ করের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান।
প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহায়তায় জন্য অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠন ও মনিটরিংয়ের জন্য এন্ট্রি র্যাগিং স্কোয়াড গঠনে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা নোটিশে বলা হয়েছিল।
ওইসময় আইনজীবী ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা তরুণরা সিনিয়রদের র্যাগিংয়ের শিকার হন। সিনিয়ররা নতুনদের কান ধরে উঠ-বস করানো, রড দিয়ে পেটানো, পানিতে চুবানো, উঁচু ভবন থেকে লাফ দেওয়ানো, সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দেওয়া, গাছে ওঠানো, ভবনের কার্নিশ দিয়ে হাঁটানো, এমনকি দিগম্বর পর্যন্ত করায়।
এছাড়া গালাগাল করা, কুৎসা রটানো, নজরদারি করা ও নিয়মিত খবরদারির মতো নানা ধরনের মানসিক নির্যাতন করা হয়। তবে সেই নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ