ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনে নিষ্পেষিত বাঙালি মুসলিম সমাজের জাগরণে যারা নানাভাবে অবদান রেখে গেছেন মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ (১৮৬৮-১৯৬৮) তাদের অন্যতম। তিনি বাংলা ভাষায় সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ এবং বাঙালি মুসলিম সমাজে সাংবাদিকতার জনক। অধুনালুপ্ত দৈনিক আজাদের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত। তবে সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি একজন সুলেখক, ধর্মবেত্তা, সমাজসেবক ও সময়ের প্রভাবশালী রাজনীতিকও ছিলেন।
জন্ম ও শিক্ষা : ১৮৬৮ সালের ৮ জুন তিনি পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলার হাকিমপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা আব্দুল বারী, মাতার নাম রাবেয়া খাতুন। তার পিতা মিয়াঁ নাযীর হুসাইন মুহাদ্দিছ দেহলভীর ছাত্র ছিলেন। একই দিনে পিতা-মাতা দু’জনেই মারা যান। ফলে তিনি নানার কাছে মানুষ হন। পারিবারিক ঐতিহ্য অনুসারে বাড়িতেই তিনি আরবি-ফার্সি শিক্ষা করেন। অতঃপর কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। কিন্তু লেখাপড়ার ভাগ্য তার বেশি দিন হয়নি। ইংরেজের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণে ফাযিল পরীক্ষা না দিয়েই মাদ্রাসা শিক্ষা ত্যাগ করেন।
মাওলানা আকরম খাঁর অবদান: আগেই বলেছি ফাযিল পরীক্ষা না দিয়েই তিনি অসহযোগ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ফলে আনুষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ হয়। এরপর তিনি নিজের চেষ্টায় লিখতে শুরু করলেন। তখনকার দিনে বাংলা চর্চাকে অত্যন্ত খারাপ নযরে দেখা হতো। তবুও তিনি দমলেন না। এক সময় তিনি নিজের বাংলা শেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছিলেন, আমি রাতের পর রাত জেগেছি এর জন্য। বালিশ মাথায় না দিয়ে বরং বাংলা ডিকশোনারি মাথায় দিয়ে শুতাম নিতান্ত ঘুম পেলে। যাতে সত্বর ঘুম ভেঙে যায়। অবশেষে একদিন তার প্রথম লেখা বের হলো কলকাতার একটি হিন্দু পত্রিকায়। মাওলানা আকরম খাঁ আকুল আগ্রহ নিয়ে তা পড়লেন এবং একটি চা স্টলে বসলেন হিন্দুদের মন্তব্য শোনার জন্য। তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয় হিন্দু লেখকদের মধ্যে। তারা সহ্য করতে পারল না এ তরুণ যখন লেখকের লেখা দেখে। বিভিন্ন জায়গায় ‘আক্রমণ খাঁ’ বলে তাকে তাচ্ছিল্য করা হতে লাগল। তিনি বলেন, এতে আমার জিদ চেপে গেল এবং উৎসাহ বেড়ে গেল।
(১) সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি: আহলে হাদিস আন্দোলনের অন্যতম নেতা কলকাতার তাঁতীবাগানের লক্ষপতি হাজী আব্দুল্লাহ আকরম খাঁর লেখা পড়ে চমৎকৃত হলেন। তিনি তাকে ডেকে নিয়ে বললেন, ‘বাবা! আমি তোমাকে প্রেসসহ আনুসঙ্গিক সব ব্যবস্থা করে দেব। তুমি পত্রিকা বের করতে পারবে?’ আকরম খাঁর সুপ্ত বাসনা ভয়ে ভয়ে স্বীকারোক্তির আকারে বেরিয়ে এলো। হাজি সাহেব উৎসাহিত হয়ে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘বাবা! জাহেলিয়াতের নিগড়ে আবদ্ধ এ দেশের মুসলিম সমাজকে জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব তোমাকে নিতে হবে। মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রেখে যাওয়া সত্যিকারের নির্ভেজাল ইসলামী আদর্শের পতাকা উড্ডীন করার ব্রত নিয়ে তোমাকে পত্রিকার নাম রাখতে হবে ‘মোহাম্মদী’। আকরম খাঁ রাজি হলেন। শুরু হলো সাংবাদিকতা।
এমনি করে প্রখ্যাত সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনীতিক আবুল মনসুর আহমদ (১৮৯৮-১৯৭৯)-এর ভাষায় তিনি মুসলিম বাংলা তথা সারা মুসলিম ভারতের রাজনৈতিক অধিকারের জন্য আন্দোলন করার সাধু উদ্দেশ্য নিয়ে একে একে বের করেন বাংলা মাসিক মোহাম্মদী (১৯০৩), মাসিক আল-এছলাম (প্রকাশক ও যুগ্ম সম্পাদক)। সম্পাদক মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী (১৮৭৫-১৯৫০)। দৈনিক সেবক (১৯২১-২২), উর্দু দৈনিক যামানা (১৯২০-২৪), ইংরেজি THE COMRADE (১৯৪৬) ও দৈনিক আজাদ (১৯৩৬)।
(২) ধর্মীয় সংস্কার: কর্মজীবনে প্রবেশ করেই মাওলানা আকরম খাঁ মুসলমানদের অধঃপতনের মূল কারণ অনুসন্ধান করেন। তিনি বুঝতে পারেন যে, মুসলমানদের এ ক্রমাবনতির মূল কারণ হলো তার নিজের সত্তা সম্পর্কে অজ্ঞতা। সে জানে না তার ঐতিহ্যের উৎস কোথায়। কাজেই প্রকৃত দরদির সর্বপ্রধান কর্তব্য হচ্ছে এ মানব গোষ্ঠীকে আত্মসচেতন করে তোলা। সে গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি দেখতে পেলেন যে, মুসলমানের মূল তাওহিদ বিশ্বাসেই ঘুণ ধরেছে। নানাবিধ শিরক ও বিদআতের আগাছা-পরগাছা ইসলামের পবিত্র দেহকে কালিমা লিপ্ত করেছে। ব্যক্তিপূজা, কবরপূজা, অসিলা পূজা প্রভৃতি সাধারণ মুসলমানের মধ্যে এমনভাবে দানা বেঁধেছে যে, তাকে সরিয়ে নিতে চাইলে তারা মরিয়া হয়ে হামলা করার চেষ্টা করে।
এমনকি আলেম সম্প্রদায়ও ধর্মের অনুশাসনের ক্ষেত্রে চার ইমামের মজহাবকে শেষ ব্যাখ্যা মনে করে ইজতিহাদ বা শরিয়াত গবেষণার দুয়ার চিরতরে বন্ধ ভেবে এক্ষেত্রে টুঁ-শব্দটি করার সাহস খুঁজে পাচ্ছেন না। তিনি সর্বপ্রথমে এর বিরুদ্ধে কলম ধরেন এবং প্রমাণ করেন যে, ইসলামে রেওয়াজ পূজা ও অন্ধ তাক্বলীদের কোনো স্থান নেই। বরং পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে কিয়ামত ঊষার উদয়কাল পর্যন্ত অনাগত ভবিষ্যতের অসংখ্য সমস্যাবলীর সমাধান অবশ্যই সম্ভব এবং প্রতি যুগের যোগ্য আলেমরা কোরআন ও হাদিস ব্যাখ্যা করার অধিকার রাখেন। বলা বাহুল্য আহলে হাদিস আন্দোলনের এ উদার মতবাদ অনেকের কাছে অসহ্য ঠেকলেও যুক্তিবাদী শিক্ষিত মহলে তা বিশেষভাবে সমাদৃত হয়।
(৩) শিক্ষা সংস্কার: তিনি ইংরেজ প্রবর্তিত দ্বিমুখী শিক্ষানীতির তীব্র বিরোধিতা করেন। এতদ্ব্যতীত তৎকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যখন মুসলমানদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করতে থাকে এবং সেখানে মুসলিম সংস্কৃতির ছিটেফোঁটাও যাতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য মুসলিম লেখকদের রচনা পাঠ্য-পুস্তকগুলো থেকে তারা বাদ দিতে থাকেন ও মুসলিম সমাজে প্রচলিত আরবি-ফার্সি শব্দগুলো বর্জন করতে থাকেন, তখন তার বিরুদ্ধে কলম ধরেন একাই মাওলানা আকরম খাঁ।
এ সময় মুসলিম ছাত্রদের হীনমন্যতা এত নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তারা রীতিমতো টেরি কেটে ধুতি পরে ক্লাসে যেত এবং তা দেখে যখন হিন্দু বন্ধুরা বলত ‘কিরে লতিফ! চমৎকার ধুতিখানা পরেছিস তো, তোকে দেখে কারোর বাবার সাধ্য নেই যে, তোকে মুসলমান বলে’।
তখন মুসলিম ছাত্ররা আহলাদে আটখানা হয়ে বলতো ‘সকলে তাই-ই তো বলে’।
ওদিকে হিন্দুদের অপপ্রচারণার ফলে এবং Risley-এর সেন্সাস রিপোর্টের ফলে মুসলমান শিক্ষিত সমাজে এ ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছিল যে, বাঙালি মুসলমানেরা হাঁড়ি, ডোম, বাগদী নমঃশূদ্র প্রভৃতি অন্ত্যজ ও অস্পৃশ্য হিন্দুদের বংশধর।Risley তার রিপোর্টে বললেন, বর্ণ হিন্দুদের চেয়ে এদের নাকের উচ্চতা অনেক কম। চোয়ালের হাড়ের উচ্চতা, কোঁকড়ানো চুল প্রভৃতিতে এদের অনার্য্য রক্তের পরিচয় সুস্পষ্ট।
মাওলানা আকরম খাঁ ইতিহাস ঘেঁটে প্রমাণ করে দেখিয়ে দিলেন যে, বাংলাদেশি মুসলমানেরা নমঃশূদ্রের বংশধর নয়, বরং তারা ইসলাম কবুলকারী এ দেশেরই উচ্চ বংশের সন্তান এবং অনেকে সরাসরি আরব রক্তের সন্তান।
(৪) ভাষা সমস্যার মোকাবিলা: তখনকার দিনে মুসলিম অভিজাত মহলের এমনকি শেরে বাংলা ফজলুল হকেরও অভিমত ছিল উর্দুই প্রকৃত প্রস্তাবে বাংলাদেশি মুসলমানদের মাতৃভাষা। একমাত্র নওয়াব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ছাড়া অন্য কোনো অভিজাত ব্যক্তি আমাদের মাতৃভাষা বাংলা বলে স্বীকার করতেন না। আলেমদের মধ্যে মাওলানা আকরম খাঁই সর্বপ্রথম এর বিরুদ্ধে কলম ধরেন এবং ইতিহাস দিয়ে প্রমাণ করেন যে, আমাদের মাতৃভাষা বাংলা এবং বাংলাই হবে আমাদের জাতীয় ভাষা।
(৫) রাজনীতিতে অংশগ্রহণ: এ সময় মুসলিম ভারতে দু’ধরনের রাজনীতি চালু ছিল। একটি নাইট-নবাব-খানবাহাদুরী রাজনীতি। অপরটি প্রগতিবাদী স্বাধীন রাজনীতি। শেষোক্তটির নেতৃত্বে ছিলেন আলী ভ্রাতৃদ্বয়, মাওলানা আজাদ, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রমুখ। মাওলানা আকরম খাঁ এদেরই মুখপাত্র হিসাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। মাওলানা আকরম খাঁ এ উদ্দেশ্যে সরকারি ‘আঞ্জুমানে ইসলামিয়া’র মোকাবিলায় ‘আঞ্জুমানে ওলামায়ে বাঙ্গালা’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং নিজে তার সম্পাদক হন। তিনি কংগ্রেস, খেলাফত ও প্রজা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একদল যোগ্য কর্মী গড়ে তোলেন।
যারা পরে কায়েদে আযমের নেতৃত্বে পাকিস্তান আন্দোলনের সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়। ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব গ্রহণের পর থেকে তিনি পাকিস্তান অর্জনের প্রতি তার পুরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন। পাকিস্তান অর্জনের এক বছর পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন স্থায়ীভাবে এবং পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি হন।
ইতঃপূর্বে তিনি যুক্ত বাংলা মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৪ সালের পর তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি হন। ১৯৬২ সালের ২৯ অক্টোবর তার সভাপতিত্বে ঢাকায় আহূত পাকিস্তান মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে জীবনের শেষ সভাপতিত্ব করেন এবং খাজা নাজিমুদ্দীনকে সভাপতি নির্বাচন করে তাকে দায়িত্ব দিয়ে তিনি ৯৪ বছর বয়সে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন।
তার রাজনীতির সাফল্য এখানেই যে, ওই সময়ে আজাদে তার প্রতিটি লেখাই এ দেশের রাজনীতির গতি নির্ধারণ করত। এতদসত্ত্বেও তিনি কখনো কোনো সরকারি পদ গ্রহণ করেননি। এখানেই সত্যিকারের ত্যাগী রাজনৈতিক নেতার পরিচয় সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।
(৬) অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের প্রচেষ্টা: বাংলার গরিব মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তিনিই সর্বপ্রথম ১৯২৯ সালে প্রজা আন্দোলনের জন্ম দেন এবং ১৭৯৩ সালে ব্রিটিশ প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের উচ্ছেদ দাবি করেন। বস্তুতপক্ষে মুসলিম বাংলার অর্থনৈতিক মুক্তির এটিই ছিল প্রথম সুসংগঠিত দাবি।
(৭) গ্রন্থ রচনা: রাজনীতি ও সাংবাদিকতার এত ডামাডোলের মধ্যে এবং সর্বদা জেল-জুলুমের মধ্যে থেকেও মাওলানা ১. ‘তাফসিরুল কোরআন ২. মোস্তফা চরিত ৩. মোস্তফা চরিতের বৈশিষ্ট্য ৪. উম্মুল কোরআন ৫. আমপারার তাফসির (কাব্যে) ৬. সমস্যা ও সমাধান ৭. মোছলেম বঙ্গের সামাজিক ইতিহাস’ প্রভৃতি অতি মূল্যবান গবেষণা ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ বড় বড় গ্রন্থ রচনা করেন। যা সত্যিই বিস্ময়ের ব্যাপার। দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মাদ আজরফের ভাষায় ‘একজন নবী মুরসলের জীবনীকে এমন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লেখার প্রচেষ্টা বিশ্ব সাহিত্যে এইটেই (মোস্তফা চরিত) বোধ হয় সর্বপ্রথম’।
প্রখ্যাত বাগ্মী জিতেন্দ্রলাল একে বলতেন ‘এক বিরাট অবদান’। ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন (১৯২০-১৯৯৫) বলেন, ‘আমার বিশ্বাস মোস্তফা চরিতের ইংরেজি অনুবাদ হলে এটি যুগান্তকারী গ্রন্থ হিসাবে সর্বত্র স্বীকৃতি পাবে’। মাওলানা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকতা ও পাণ্ডিত্য এক জিনিস নয়। কিন্তু মাওলানার মধ্যে এ দুয়ের এক আশ্চর্য সমন্বয় আমরা দেখেছি... যুক্তিবাদী মনীষা তার ভাষাকে একটা অদ্ভুত শক্তি ও দীপ্তি দিয়েছে’।
মৃত্যু: ১৯৬৮ সালের ১৮ আগস্ট এ শতায়ু মহীরুহের জীবনাবসান ঘটে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
অবদান মূল্যায়ন: সাহিত্যিক সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ (১৮৯৮-১৯৭৯) মরহুম মাওলানাকে ‘মুসলিম বাংলার রেনেসাঁর অগ্রনায়ক’ বলে অভিহিত করেন। তার মৃত্যুর পর দৈনিক পাকিস্তান মন্তব্য করে ‘তার মতো মনীষী একটা জাতির জীবনে দুই এক শতাব্দীর মধ্যেও জন্মগ্রহণ করে না। ফরাসি বিপ্লবে রুশো ও ভল্টেয়ারের যে অবদান ছিল, আমাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবে এ জ্ঞানবৃদ্ধ মনীষীর অবদান তার চাইতে কোনো অংশে কম নয়’। পশ্চিম পাকিস্তানের দৈনিক জং মন্তব্য করে ‘মাওলানা শুধু একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেন নাই, তিনি নিজেও একটি ইতিহাস’।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ