ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সেবা নিয়ে ‘দুশ্চিন্তা’

প্রকাশনার সময়: ২১ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৫

সরকার পতনের আগে ও পরে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। কেউ কেউ আছেন আত্মগোপনে। আবার দেশ ছাড়ার সুযোগ খুঁজছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রধানরা গা-ঢাকা দেন। নোটিশ দেয়া সত্ত্বেও সরকার পতনের পর থেকে তারা কাজে যোগ দেননি। এতে করে এসব প্রতিষ্ঠানের কাজ স্থবির হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয় গত সোমবার। গতকাল মঙ্গলবার প্রশাসকরা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় বিশেষ করে ঢাকার দুই সিটি— ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সেবা নিয়ে দুচিন্তায় পড়েছেন নাগরিকরা।

জানা যায়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকে ঢাকার দুই সিটির মেয়র, প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলররা অফিস করছেন না। ফলে দুই সিটির সেবা কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে। নাগরিকরা বঞ্চিত হচ্ছেন সেবা পাওয়া থেকে। এদিকে, চলমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সিটি করপোরেশন মেয়রদের ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিতি এবং প্যানেল মেয়রদের উপস্থিতিও নিশ্চিত করতে না পারায় ৮৯৮ জনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনে ১২ জন, জেলা পরিষদে ৬১ জন, উপজেলা পরিষদে ৪৯৫ জন ও পৌরসভায় ৩৩০ প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছেন। আবার এই প্রশাসক নিয়োগেও নাগরিক সেবার সুফল মিলবে কী না এ নিয়ে শঙ্কায় আছেন নগরবাসী।

জানা যায়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৭২ কাউন্সিলরের মধ্যে ১৮ জন ছাড়া অন্য কোনো কাউন্সিলর অফিস করছেন না। বেশির ভাগ কাউন্সিলর অফিস না করার প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। কারণ ঠিকমতো বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। মনিটরিং করার জন্য কাউন্সিলরের দেখা নেই, তারা লাপাত্তা। একইভাবে মশক নিধনের লোকদের দেখা নেই, মশার উৎপাত বেড়েছে, ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। কিন্তু সেই অভিযোগ জানানোর জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরের দেখা মিলছে না। যদিও ডিএনসিসির পক্ষ থেকে সংস্থাটির মুখপাত্র মকবুল হোসাইন দাবি করেছেন, ডিএনসিসির সব পরিষেবা কার্যক্রম চলমান আছে। ডিএনসিসি কর্তৃক মশক নিধন, বর্জ্য অপসারণ ও অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রমসহ সব সেবামূলক কার্যক্রম প্রতিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে চলমান রয়েছে। ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেয়র-কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে কিছু কাজ অবশ্যই বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে নাগরিক সেবা কার্যক্রমসহ রুটিন কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। অপরদিকে সেবাগ্রহীতারা বলছেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যায় এই মৌসুমে। এ সময় মেয়র-কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে পূর্ব প্রস্তুতির কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ ১৭ ধরনের সনদ ইস্যু করার কাজ করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ডিএনসিসির মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বলেন, এসব সনদ ইস্যুতে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকার আঞ্চলিক কর্মকর্তার কার্যালয়ে সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে।

সব সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রাখা হবে: এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ডিএনসিসির নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান। গতকাল মঙ্গলবার গুলশানস্থ ডিএনসিসি নগর ভবনে সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ ঘোষণা দিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার প্রশাসক হিসেবে যোগদান করে তিনি ডিএনসিসির সব বিভাগীয় প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিএনসিসির সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে সভা করেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের কাছে ছাত্র-জনতার যে প্রত্যাশা সেটি পূরণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করব। ডিএনসিসি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবার পরিসর বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

এ সময় ডিএনসিসির কার্যক্রম পরিচালনায় জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করা হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করা হবে। খালের ময়লা পরিষ্কার করে ও অবৈধ দখলমুক্ত করে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ অন্য সব নৈমিত্তিক সেবাগুলো অব্যাহত রাখা হবে।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘ডিএনসিসির কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে এখনো সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।’

সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানের সব আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়মিতভাবেই নিরীক্ষা কার্যক্রমের আওতায় চলে আসে। তাই যে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী তদন্ত ও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মতবিনিময়কালে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী এবং প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।

নাগরিক সেবাদানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে: অন্যদিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নাগরিক সেবাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নবনিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসক ড. মঃ শের আলী। গতকাল মঙ্গলবার নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে নিয়োগ-পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীদের সঙ্গে দাপ্তরিক কার্যক্রম সুচারুভাবে পরিচালনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

শের আলী বলেন, আপনারা জানেন যে, একটা বিশেষ প্রেক্ষাপটে সরকার আমাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে সহকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাদের কাছ থেকে করপোরেশনের বর্তমান কাজে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কিনা, সে বিষয়ে অবহিত হয়েছি এবং সেগুলো, বিশেষ করে নাগরিক সেবা আরো সুন্দরভাবে, আরো দক্ষতার সঙ্গে জনগণকে প্রদানের দিকনির্দেশনা প্রদান করেছি। সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে অব্যাহতভাবে সে সব সেবা প্রদান করতে পারব বলে আমরা আশা করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে সেবাগুলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়, সেগুলো অব্যাহত আছে এবং অব্যাহত থাকবে। কাউন্সিলরদের মাধ্যমে যে সেবাগুলো দেয়া হয় সে বিষয়গুলোর কী হবে এবং কাউন্সিলরের অবস্থানের বিষয়ে সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। কাউন্সিলরদের যে অফিসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে অফিসগুলোর বিষয়ে আমরা নজর দিচ্ছি, যাতে করে সেবাগুলো আমরা আরো সুন্দরভাবে দিতে পারি। আমরা আশা করছি, সাম্প্রতিক সময়ের কোনো বিষয়ই নাগরিক সেবাদান কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আত্মগোপনে থাকা জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দায়িত্বে না ফিরলে আইন অনুযায়ী তাদের বরখাস্ত করে উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। এখন প্যানেল মেয়র মনোনীত করে তাদের দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯ এ উল্লেখ আছে, কোনো ইউপি সদস্য পরপর তিন কার্যকরী মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্য পদ বাতিল হবে এবং সুনির্দিষ্ট কারণে বছরে সর্বোচ্চ তিন মাস ছুটি নিতে পারবেন। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধিদের দেশের বাইরে বহির্গমন করতে হলে তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাধ্যতামূলক অনুমতি নিতে হবে।

সেবাগ্রহীতারা বলেন, ‘মেয়র-কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকলেও নাগরিক সেবা ঠিক রাখতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সড়ক বাতি, মশক নিধন কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা জরুরি। এ অবস্থায় নাগরিক সুবিধা পাওয়া থেকে যেন কেউ বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুতই ব্যবস্থা নেবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তবে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে এ সমস্যা সমাধানে খুব একটা প্রভাব পড়বে না বলে তাদের দাবি।

ঢাকা উত্তর সিটির খিলক্ষেত এলাকার বাসিন্দা শাহিদুর রহমান বলেন, ‘মেয়র-কাউন্সিলরদের তদারকির পরেও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত নগরবাসী। আর সেখানে তাদের অনুপস্থিতিতে শুধু প্রশাসকে এ ব্যাপারে খুব একটা সফলতা পাবে বলে বিশ্বাস করতে পারছি না।’

এদিকে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরে মেয়র-কাউন্সিলর অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ নেই। তবে গুরুত্ব অনুসারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিধন ও সড়ক বাতি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, ‘কিছু জনপ্রতিনিধি অনুপস্থিত থাকলেও বর্জ্য, স্বাস্থ্য বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলমান। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়মিত কাজ করছেন। বেশ কয়েকটি থানাও তারা পরিষ্কার করেছেন।’

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সেবা কোনোভাবেই বন্ধ রাখা ঠিক হবে না। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও জোনাল অফিসের মাধ্যমে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সিটি করপোরেশনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখন অনেকেই উপস্থিত নেই। এটি একটি শূন্যতা। তবে সিটি করপোরেশনের কাঠামো এমনভাবে ডিজাইন করা তাদের অনুপস্থিতিতে অনেক কাজই কর্মকর্তারা করতে পারেন। সেই ক্ষমতা আইনে দেয়া আছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং তাদের অফিস বন্ধ থাকলে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সংকট উত্তরণের জন্য আঞ্চলিক অফিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আঞ্চলিক অফিসগুলোর সবাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী।’ সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিদায়ী সরকারের আমলে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও তো সঠিকভাবে হয়নি। তাই বর্তমান সরকারের উচিত হবে যেসব জনপ্রতিনিধি পালিয়ে গেছেন বা আত্মগোপনে আছেন তারা দ্রুত দায়িত্ব পালনে ফিরে না এলে তাদের বরখাস্ত করে শূন্যপদে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। তা হলে নাগরিক সেবা ব্যাহত হবে না। স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আত্মগোপনে থাকা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কোনো মেয়র ও কাউন্সিলর তিন মাস অফিসে অনুপস্থিত থাকলে আইন অনুযায়ী তাকে বরখাস্ত করা যাবে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হলে বা অসদচারণের জন্যও মেয়র বা কোনো কাউন্সিলরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে মন্ত্রণালয়।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ