বিদ্যুৎ খাতের যে অনিয়মটি নিয়ে গত এক দশক ধরে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো কুইক রেন্টালের নামে লুটপাট। পাশাপাশি ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গুটি কয়েক কোম্পানির হাতে হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাওয়ার বিষয়টিও সাম্প্রতিক সময়ে সামনে এসেছে। তবে গত বছর জুলাইয়ে ঘোষণা দিয়ে আনুষ্ঠানিক লোডশেডিং শুরুর পর থেকে এ দু’টি বিষয় নিয়ে আলোচনা আরো জোরালো হয়েছে। গণমাধ্যমগুলোয় উঠে আসতে শুরু করে এ দুই খাতের নানা অনিয়ম ও লুটপাটের চিত্র।
এক সময় বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে জরুরিভাবে চালু করা হয়েছিল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যা এখন গলার কাঁঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব কেন্দ্রকে অনেকটা বসিয়ে রেখেই দিনের পর দিন ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা, যার বেশিরভাগই গেছে এসব রেন্টাল বা কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালন ব্যয়ে। এর আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। টাকার অবমূল্যায়নসহ নানা কারণে মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে প্রায় ছয় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ক্যাপাসিটি চার্জের পরিমাণ।
আসলে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বা দ্রুত ভাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হচ্ছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, যা বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদার সময় দ্রুত ভাড়া নেয়া হয়। সাধারণত যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ কিংবা ভূমিকম্প, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ব্যাপক কোনো ক্ষতি সাধিত হলে তাৎক্ষণিক স্বল্প মেয়াদে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মাধ্যম বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে ২০০৭-০৯ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়, যা পরবর্তী সরকার দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে প্রসারণ করে। ২০০৯ সালের দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি থাকায় বেসরকারি এ ব্যবস্থা চালু হয়। এ ব্যবস্থার আইনি বিতর্ক এড়াতে সরকার আইন করে ‘দায়মুক্তি আইন-২০১০’ গ্রহণ করে এবং এ দায়মুক্তি পরবর্তীতে আরো বাড়ানো হয়। এ সময় দুর্নীতি, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে অনেক সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও তখন লোডশেডিং অনেকটা কমে যায়। এ ব্যবস্থা শুরুর সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ছিল প্রতি ইউনিট ২.৫৫ টাকা। বাংলাদেশে এ রকম বেশিরভাগ প্ল্যান্ট আমদানিকৃত তরল জ্বালানি দিয়ে চলে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মনে করেন এ পদ্ধতিটি টেকসই নয়, কেননা বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন চাহিদার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ, তথাপি যেসব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ব্যবহার হচ্ছে না সেগুলোর জন্যও সরকারকে টাকা দিতে হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বর্তমান মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াট এবং এর মধ্যে গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৫০৪ মেগাওয়াট। চাহিদা আছে সাড়ে ১৩ হাজার থেকে ১৭ হাজার মেগাওয়াট এবং এর বিপরীতে উৎপাদন করা হচ্ছে ১৩ হাজার থেকে সাড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ তথ্য বলছে, ২২ এপ্রিল ২০২৪ সালে দেশে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট এবং এর আগের দিন ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছিল। জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার বিপরীতে ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায় তখন বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াটে নেমে আসে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির বেশিরভাগ অর্থই এসব বেসরকারি রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ মেটাতে ব্যয় করা হচ্ছে। এ কেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও তাদের উৎপাদন ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট ফি কেন্দ্রগুলোকে দিতে হয়, যার পুরোটাই সরকারকে বহন করতে হয়। এই পরিমাণ অর্থ বিদ্যুতের অন্য কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার হলে তা দেশের জন্য উপকার হতো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় এ খাতে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা এবং জ্বালানি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক হাজার ৮৭ কোটি টাকা।
আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ভাড়াভিত্তিক (কুইক রেন্টাল) বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮৬ দশমিক ৫০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে অলস বসিয়ে রাখলে চুক্তি অনুযায়ী তাদের যে পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হয়, সেটারই আনুষ্ঠানিক নাম ক্যাপাসিটি চার্জ। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা দেশের বিদ্যুৎ খাতের ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে শুরু থেকেই বেশ সমালোচনা মুখর ছিলেন। তারা এ পদ্ধতিকে রাষ্ট্রের অর্থ লুটপাটের সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র সমালোচনা করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য বলছে, ২০০৮-০৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর ১৬ বছরের জন্য ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮৬ দশমিক ৫০ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত ১০ বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৪৩ হাজার ৩৩৩ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা। অথচ ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ছয় বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হয়েছে ৯৫ হাজার ৪৫২ দশমিক ৬৭ কোটি টাকা।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য মতে, গত ১৪ বছরে বিদায়ী সরকার সংশ্লিষ্ট সামিট পাওয়ারের পকেটে ক্যাপাসিটি চার্জের প্রায় ১০ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা ঢুকেছে, যা মোট ক্যাপাসিটি চার্জের প্রায় ১২ শতাংশ। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি এগ্রিকো ইন্টারন্যাশনাল ৭ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা (৮.৮৪ শতাংশ) এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মালয়েশিয়াভিত্তিক চীনা কোম্পানি এরদা পাওয়ার হোল্ডিংস ৭ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা (৮.৩৯ শতাংশ)। চতুর্থ ইউনাইটেড গ্রুপ ৬ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা, পঞ্চম রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) ৫ হাজার ১১৭ কোটি টাকা, ষষ্ঠ বাংলা ক্যাট গ্রুপ ৫ হাজার ৬৭ কোটি টাকা, সপ্তম বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে গড়ে ওঠা পায়রা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ৪ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা, অষ্টম ওরিয়ন গ্রুপ ৪ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা, নবম খুলনা পাওয়ার কোম্পানি (কেপিসিএল) ৪ হাজার ৫৪ কোটি টাকা, হোসাফ গ্রুপ (১০ম) ২ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা, মোহাম্মদী গ্রুপ (১১তম) ২ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা, ডরিন গ্রুপ (১২তম) ২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা, ম্যাক্স গ্রুপ (১৩তম) ২ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা, যুক্তরাষ্ট্রের এপিআর এনার্জি (১৪তম) ২ হাজার ৮৭ কোটি টাকা, সিঙ্গাপুরের সেম্বকর্প (১৫তম) ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা, শাহজিবাজারের (১৬তম) ১ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা, সিকদার গ্রুপের (১৭তম) ১ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা ও কনফিডেন্স গ্রুপের (১৮তম) ১ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিউ ইংল্যান্ড পাওয়ার কোম্পানির এনইপিসি কনসোর্টিয়ামের হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র (১৯তম) ১ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা, শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কোম্পানি লক্ষধনভি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস (২০তম) ১ হাজার ৪০১ কোটি টাকা, সিনহা গ্রুপ (২১তম) ১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, আনলিমা গ্রুপ (২২তম) ১ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা, বারাকা গ্রুপ (২৩তম) ১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা, রিজেন্ট গ্রুপ (২৪তম) ১ হাজার ৩৭ কোটি টাকা ও এনার্জিপ্যাক (২৫তম) ১ হাজার ২৭ কোটি টাকা।
দেশি-বিদেশি এসব কোম্পানি ছাড়াও ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে গিয়ে ৯ বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ১৫ কোটি টাকা। দেশটি থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয় ২০১৩-১৪ অর্থবছর এবং সে বছর ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল প্রায় ৫০১ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছর ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৮ কোটি টাকা এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি কমবেশি হলেও ক্যাপাসিটি চার্জ কমার কোনো সুযোগ নেই। এভাবেই বিদ্যুৎ খাতে চলছে কুইক রেন্টালের নামে দুর্নীতি আর ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বাড়ছে অর্থের অপচয় বা লুটপাটের মহোৎসব।
এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় যখন সরকারের একটি প্রতিষ্ঠানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার তৈরি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জকে একটি ‘লুটেরা মডেল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট সক্ষমতার মাত্র ৫৬ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। এর কারণ, জ্বালানি ও কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অনেক বেশি। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অতিরিক্ত মূল্যে বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহকদের সরবরাহ করতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিতে হয়।
বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াট কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১৪ হাজার মেগাওয়াট। অথচ ব্যবহার না করেই উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার এখন যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করেছে তা ২০৩০ সালেও প্রয়োজন হবে না। আজ থেকে ছয় বছরে চাহিদা দাঁড়াতে পারে ১৯ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। ২৫ শতাংশ রিজার্ভ ধরলে তখন ২৩ হাজার ২৫২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা হলেই হয়। অথচ সক্ষমতা বাড়লেও দেশে লোডশেডিং হচ্ছে। গরমে গড়ে ১১০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। চাহিদার থেকে এখন দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ৪৬.৪ শতাংশ বেশি। কিন্তু এ সক্ষমতাই অর্থনীতির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার চুক্তি করেছে, বিদ্যুৎ কিনুক বা না কিনুক মাসের শেষে টাকা দিতে হবে। উৎপাদন না করলেও দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে দিতে হয় ক্যাপাসিটি চার্জ। এ চার্জের নামে এখন হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে সরকারের তহবিল থেকে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে চলছে লুটপাটের মহোৎসব। এ লুটপাট বন্ধ করা জরুরি।
লেখক: ব্যাংকার ও কলাম লেখক
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ