ঢাকা, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১২ রজব ১৪৪৬

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ বাড়ছে

প্রকাশনার সময়: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৩

এতদিন শেখ হাসিনা সরকারের বলতে থাকা নানা ‘জাদু’ হঠাৎই হাওয়া। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তার বিদায় সরকারের দুর্বল নীতিই প্রকাশ্যে এনেছে। শুধু তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির ওপর নির্ভর করে দাঁড়ানো তার অর্থনীতি উচ্চ মূল্যস্ফীতি আর কর্মসংস্থানের চাপ সামলাতে পারেনি। সেই আগুনে ঘি ঢেলেছে ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতি আর শেখ হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব। যার পরিণতিতে তাকে বিদায় নিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে। অস্বাভাবিকভাবে সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে কোনো কিছুই এখন স্বাভাবিক নয়। সুশৃঙ্খল নয় অর্থনীতিও।

বাংলাদেশ ব্যাংকসহ কোনো ব্যাংকেই স্বাভাবিক কাজ চলছে না। কেউ ব্যাংক থেকে দিনে ২ লাখ টাকার বেশি তুলতে পারছে না। ডলারের দামের ঊর্ধ্বমুখীই আছে। গত এক দশকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ব্যবসায়ীদের অনেকে এখন লাপাত্তা। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সুস্থির নয়। আন্দোলনের মধ্যে রেমিট্যান্সেও ভাটা। মূল্যস্ফীতি চড়ছেই, অন্যদিকে কমছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ)।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল আগের অর্থবছরের (২০২২-২৩) চেয়ে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এই সূচক বেশ ধাক্কা খেয়েছে। জুলাই মাসে ১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এ অঙ্ক ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। আর গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে ৩ শতাংশ কম।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সরকারের দমন-পীড়ন শুরু হলে রেমিট্যান্স না পাঠাতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান ছিল আন্দোলনকারী এক দলের। আবার আন্দোলনের মধ্যে সরকার ইন্টারনেট দিয়েছিল বন্ধ করে। দুটোর প্রভাবই পড়ে রেমিট্যান্সে।

চলতি আগস্ট মাসের ১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৮ কোটি ২৭ লাখ ডলার। মাসের বাকি ২১ দিনে এ হারে আসলে মাস শেষে অঙ্কটি দাঁড়াবে ১৪৯ কোটি ২৭ লাখ ডলার।

গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ২ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। একক মাসের হিসাবে জুন মাসের রেমিট্যান্স ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি (২.৬ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা।

তথ্য সংশোধনের ফলে প্রবৃদ্ধিতে থাকা রপ্তানি আয় নেতিবাচক হয়ে গেছে। আর এতে অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর হিসাব দিয়েছে ওলটপালট করে। পতনের আগে রপ্তানির হিসাবে বড় ধরনের গরমিল ধরা পড়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। রপ্তানিকারকরা অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করছিলেন, ইপিবি রপ্তানি আয়ের ফোলানো-ফাঁপানো তথ্য দিচ্ছে।

এরই মধ্যে গত ১০ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের (জুলাই-মে) রপ্তানির ‘প্রকৃত তথ্য’ প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, ওই ১১ মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৭ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। এই অঙ্ক আগের অর্থবছরের (২০২২-২৩) একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ কম।

অথচ তার আগে ৪ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক পুরোনো হিসাবে রপ্তানির যে তথ্য প্রকাশ করেছিল, গত অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে পণ্য রপ্তানি থেকে ৫১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার আয়ের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছিল। তাতে ওই ১১ মাসে ২ দশমিক শূন্য এক শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব বলছে, রপ্তানির ‘প্রকৃত তথ্য’ প্রকাশের পর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে রপ্তানি আয় ১৪ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। অর্থবছর শেষ হওয়ার দেড় মাস হতে চললেও গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনের তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

সংশোধিত হিসাবে বিশাল অঙ্কের এ রপ্তানি আয় কমে যাওয়ায় দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারও কমে যাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এর আগেই নতুন হিসাবে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) ওলটপালট হয়ে যাওয়ার তথ্য দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবে হঠাৎ বড় পরিবর্তন এসেছে; উদ্বৃত্ত থাকা চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আর বড় ঘাটতিতে থাকা আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) চলতি হিসাবে ঘাটতি ছিল ৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। আর আর্থিক হিসাব উদ্বৃত্ত হয়েছে ২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। অথচ আগের মার্চ পর্যন্ত চলতি হিসাব ছিল উদ্বৃত্ত এবং ঘাটতিতে ছিল আর্থিক হিসাব।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে চলতি হিসাবে ঘাটতি ছিল ১২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল ৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার।

সরকারি কিংবা বেসরকারি সব বিনিয়োগই বেহাল। অর্থ সংকটের কারণে এডিপি কাটছাঁট করে যাচ্ছিল সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বরাদ্দসহ সব মিলিয়ে মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি ২ লাখ টাকা। পরে তা থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি কমিয়ে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯১ কোটি ৬৪ লাখ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) গত অর্থবছরের ১১ মাসের (জুলাই-মে) এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করেছে সরকার। বাস্তবায়নের হার ৫৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। যা চার অর্থবছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

অন্যদিকে দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি এক অঙ্কের ঘরে (সিঙ্গেল ডিজিট) নেমে এসেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ মাস জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ৩ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ কম।

গত ৩১ জুলাই রিজার্ভের সবশেষ তথ্য প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওইদিন আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার। আর ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। এর আগে গত ৩০ জুন বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

গত ২৭ জুন বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। তবে পরদিন আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়। এছাড়া বাজেট সহায়তার ঋণ হিসেবে বিশ্বব্যাংক, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারও যোগ হয় রিজার্ভে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন কাঁটায় কাঁটায় আছে।

ডলারের বাজার অস্থির বছর খানেক ধরেই। আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বাজারে প্রতি ডলার ১১৮ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। ব্যাংকগুলোও নগদ ডলারসহ সব ক্ষেত্রেই ১১৮ টাকা দরে ডলার লেনদেন করছে। খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৪ টাকায়। গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে খোলাবাজারে ডলারের দর বেড়ে ১২৬ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনীতির সবচেয়ে উদ্বেগজনক সূচক হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ হিসাব দেখাচ্ছে, তা আরও চড়েছে। জুলাই মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ।

আগের জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ; খাদ্য মূল্যস্ফীতি উঠেছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে।

দেশে এক বছর ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। গত ১২ মাসের মধ্যে ৭ মাসই খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে ছিল। গত বছরের আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে উঠেছিল, যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সর্বোচ্চ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, যা অর্থবছরওয়ারি হিসাবে অন্তত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। পুরো বছরে কোনো মাসেই সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নামেনি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মোট ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত অর্থবছরের মূল বাজেটে রাজস্ব আদায়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু পরে তা ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ধরা আছে।

সরকারের খরচের জোগানের অন্যতম বড় উৎস শুল্ক-কর। ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবে চললে শুল্ক-কর আদায় নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সংঘাতের পর ক্ষমতার পালাবদল হলেও অস্থিরতা কাটেনি। এমন অবস্থায় আমদানি পণ্য খুব খালাস হয়নি। আবার স্থানীয় পর্যায়ে দোকানপাট তেমন একটা খোলেনি। খুললেও বেচাকেনা তেমন নেই।

এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের চূড়ান্ত হিসাব আসেনি। তবে শুল্ক-কর আদায় আগের বছরের জুলাই মাসের তুলনায় অর্ধেকে নামতে পারে। গত বছর জুলাই মাসে ২০ হাজার কোটি ৬০০ কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় করেছিল এনবিআর।

গতি হারানো অর্থনীতির সূচকগুলো নিয়ে উদ্বেগের কথা ইতোমধ্যেই জানিয়েছে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা। অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে সবার আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, এখন যত দ্রুত সম্ভব আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে আমাদের অর্থনীতিকে বড় ধরনের মাশুল দিতে হবে।

তিনি বলেন, অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগ ও আমদানি-রপ্তানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ, এটি বাজার স্থিতিশীল করতে বড় ভূমিকা পালন করে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনীতিতে নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। ব্যাংকের সমস্যা রয়েছে, মূল্যস্ফীতির সমস্যা রয়েছে। আরও অনেক ধরনের জটিলতা আছে। সবক্ষেত্রেই কাজ করতে হবে। তবে এ মুহূর্তে মূল কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা। আইনশৃঙ্খলা মানে শুধু রাস্তাঘাটের আইনশৃঙ্খলা নয়, বরং ব্যাংক পুরোপুরি চালু করা, বন্দরগুলো অনেকাংশে অচল— সেগুলো চালু করা।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ