আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর চলছে পদত্যাগ আর পরিবর্তনের হিড়িক। বিচার বিভাগ থেকে সিভিল প্রশাসন, পুলিশ, সেবা খাত— সবখানেই একই অবস্থা। একদিকে শীর্ষপদ থেকে বিদায় নিচ্ছেন একজন, অন্যদিকে আসছে সেখানে নতুন মুখ। এ অবস্থায় কেবল ব্যক্তি নয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতি ও সংবিধান সংস্কারের তাগিদ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। সেই সঙ্গে সচিবালয় থেকে মাঠ পর্যায়ে বিশেষ কোনো দল দখলে নিচ্ছে – এমন ধারণা যাতে তৈরি না হয়, তা নিয়েও সতর্ক করেন তারা। কর্মকর্তাদের এমন গণপদত্যাগের বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করতে হবে। আইনকানুন-বিধি বিধানের সংস্কার করতে হবে। নিয়মনীতির পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের সংবিধানের সংস্কার করতে হবে। এসব অতি জরুরি।’
জানা যায়, গত শনিবার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। তারা পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে। সন্ধ্যার মধ্যেই পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি। তার পরপরই পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের আরো পাঁচ বিচারপতি। তারও আগে পদত্যাগ করেছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ভয়ঙ্করভাবে প্রশ্নবদ্ধি হয়েছে পুলিশ। চুক্তিতে থাকা পুলিশ প্রধানের নিয়োগ বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরানো হয় এলিট ফোর্স র্যাবের মহাপরিচালক ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে।
বহু বছর সংকটে যাচ্ছে অর্থনীতি। এজন্য অভিযোগের তীর কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর রাজস্ব বোর্ডের দিকে। পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। পুঁজিবাজার নিয়ে যে অস্থিরতা তাতে ভুক্তভোগী লাখো বিনিয়োগকারী। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর পদ হারিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির আলোচিত চেয়ারম্যান। বরাবরের মতো এবারো শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এ আন্দোলনের ফলে নতুন সরকার গঠনের পর পদত্যাগ করেছেন ঢাকাসহ বেশির ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ২০১১ সাল থেকে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে থাকা লিয়াকত আলী লাকীও অবশেষে পদত্যাগ করেছেন। ইতোমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসির) চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. সাদেকা হালিমসহ প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রাধ্যক্ষসহ অনেকেই পদত্যাগ করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর দেশব্যাপী চলছে পদত্যাগের হিড়িক। বরখাস্তও হয়েছেন অনেকে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘একটি পক্ষ ধরে নিয়েছে তাদের সময় শেষ হয়ে এসেছে। স্থানীয় প্রশাসন থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সব জায়গায় এ অবস্থা। তারা ভেবেছে নতুন সরকার আসায় টিকে থাকা কঠিন হবে। এটি কিন্তু ভয়াবহ ইঙ্গিত দেয়। এর পরিণতি কখনোই ভালো হবে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর: গত শুক্রবার পদত্যাগ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এর আগে গত বুধবার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে বিক্ষোভ হয়েছে। ওই দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, চার ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা ও আর্থিক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধানের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়। তারা একজন ডেপুটি গভর্নরকে সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করেন এবং আরো চার জন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে পদত্যাগে রাজি করান। এরপর গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নরসহ চার শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ চারজন হলেন— ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান ও খুরশীদ আলম এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস ও পলিসি উপদেষ্টা আবু ফরাহ নাসের।
অ্যাটর্নি জেনারেল: গত ৭ আগস্ট রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া গত সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কর্মরত ৭০ আইন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। সোমবার সকাল পর্যন্ত তারা পদত্যাগ করেন বলে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব: শেখ হাসিনার সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের দায়িত্ব পালন করা মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে তাকে সরকারি চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত ৭ আগস্ট এক আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, মুখ্য সচিব পদে তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হয়েছে।
আইজিপি: গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের চুক্তি বাতিল করে নতুন আইজিপি হিসেবে মো. ময়নুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সাবেক আইজিপি আত্মগোপনে আছেন।
র্যাব প্রধান ও ডিএমপি কমিশনার: পুলিশের শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনার পর এবার র্যাব প্রধান এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনারকেও সরিয়ে দেওয়া হলো। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদকে সরিয়ে পুলিশের এই এলিট ফোর্সের নেতৃত্বে আনা হয়েছে অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমানকে, যিনি এত দিন পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত ছিলেন।
আর ঢাকার পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানকে সরিয়ে সেই পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডির উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. মাইনুল হাসানকে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক: বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। যিনি ২২ দিন আগে নিয়োগ পেয়েছিলেন। গত শনিবার বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. সরকার আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পদত্যাগপত্রটি যথাযথ মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। গত বৃহস্পতিবার রাতে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানিয়েছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি। পদত্যাগের কারণ হিসেবে বিবৃতিতে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. শাহজাহান কবীর পদত্যাগ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তোপের মুখে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।
চবি উপাচার্য: অব্যাহতি চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। এছাড়া চবির রেজিস্ট্রার বরাবরও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। গত সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ। তিনি বলেন, গত রোববার রাতে তিনি (ড. মো. আবু তাহের) পদত্যাগপত্রটি মেইলে পাঠিয়েছেন।
কুয়েট ভিসি: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ভিসি প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার ও প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া পদত্যাগ করেছেন। গত সোমবার তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের নিকট পদত্যাগপত্র জমা দেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এফ এম আবদুল মঈন পদত্যাগ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত রোববার তিনি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্রটি পাঠান।
কলেজ অধ্যক্ষদের পদত্যাগ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহসিন কবির পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগপত্রে সই করে কলেজ ছাড়েন তিনি।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমেনা বেগম। সাদা কাগজে ‘আমি পদত্যাগ করলাম’ লিখে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ও সিলমোহর দিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি। এছাড়া পদত্যাগ করেছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফেরদৌস আরা বেগমও।
পদত্যাগ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। একই সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ পুরো প্রক্টোরিয়াল বডি, (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আইনুল ইসলাম, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক তানভীর আহসান, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: পদত্যাগ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মশিউর রহমানও। ইতোমধ্যেই তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাহি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের পদত্যাগ: ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। গত রোববার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে তারা পদত্যাগপত্রে সই করেন। পদত্যাগ করা দুই জন হলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী এবং কলেজ শাখার অধ্যাপক ও গভর্নিং বডির (কলেজ) সদস্য ফারহানা খানম।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের টিসি দেওয়া ও হেনস্তা করার অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে আন্দোলনে নামেন ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে আরও এক শিক্ষককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দেন তারা। রাজধানীর বেইলী রোডে ভিকারুননিসার মূল শাখার সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় তাদের হাতে ‘শিক্ষকের সংস্কার, ফারহানার বহিষ্কার’, ‘ফারহানা, আর না আর না’, ‘ভিকারুননিসায় দুর্নীতি, মানবো না মানবো না’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যক্ষ কেকা চৌধুরী ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. ফারহানা খানম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সময় নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় দিতে সাহায্য করেননি। উল্টো তাদের টিসি দেওয়া এবং হেনস্তা করার হুমকি দেন। তাদের বিরুদ্ধে কলেজে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। এজন্য তাদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
অপরদিকে রাজধানীর মনিপুর স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং শাখা-প্রধানদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক পরিষদ।
অভিভাবক পরিষদের সভাপতি একলিমুর রেজা কোরাইশ বলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। এছাড়া সব শাখা-প্রধানের নিয়োগও অবৈধ। তাই অতিদ্রুতই তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
এদিকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও মনিপুর স্কুলের অধ্যক্ষ পরিবর্তন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবির অধ্যক্ষ পদায়নের দাবি করেছে অভিভাবকদের সংগঠন ‘অভিভাবক ঐক্য ফোরাম’। ওই তিন প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরা এ দাবি তুলেছেন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ