চার দফা দাবিতে সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ধারাবাহিক এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি এবং শহীদদের স্মরণে শাহবাগ থেকে রাপা প্লাজা অভিমুখে পদযাত্রা, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও দোয়ার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার (১৪ আগস্ট) থেকে চার দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ শুরু হতে যাচ্ছে।

সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘বুধবারের কর্মসূচির প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে খুনি হাসিনার বিচারসহ চার দফা। ঢাকার সব ছাত্র ও জনতাকে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া সারাদেশে যেসব স্থানে শিক্ষার্থী-জনতা শহীদ হয়েছেন, সেসব স্থানে পদযাত্রা, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও দোয়া কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সারাদেশের যেসব স্থানে আমাদের জাতীয় বীরেরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, সেসব পয়েন্ট অভিমুখে ‘রোডমার্চ’ কর্মসূচি পালিত হবে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রোডমার্চে সংশ্লিষ্ট স্থানে জড়ো হয়ে আমরা ‘এক মিনিট নিরবতা পালন করব এবং শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা করব। বিকাল ৩টায় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সময় ও স্থান নির্ধারিত করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার দফা দাবিগুলো হলো-

১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।

৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

নয়াশতাব্দী/জিএস