ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশনার সময়: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামের এক মুদি দোকানিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আবু সায়েদের ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ এস এম আমীর হামজা (শাতিল) গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ এবং যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারকে আসামি করা হয়েছে মামলার আর্জিতে। পাশাপাশি পুলিশের অজ্ঞাতনামা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের এ মামলায় আসামি করার আবেদন করেছেন মামলার বাদী।

সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলন আগস্টের শুরুতে সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়। জেলায় জেলায় সহিংসতায় মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রায় তিনশ মানুষের প্রাণ যায়। ৫ আগস্ট আন্দোলনকারীদের ঢাকামুখী লংমার্চের মধ্যে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং পালিয়ে ভারতে চলে যান। এরপর তার বিরুদ্ধে এটাই প্রথম মামলার উদ্যোগ। মামলার এজাহারে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালে আবু সায়েদ নিহত হন। বাদী আমীর হামজা কল্যাণপুরের একজন দুগ্ধ খামারি। তিনি বলেছেন, নিহত সায়েদ তার ঘনিষ্ঠ কেউ না হলেও বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে তিনি স্বেচ্ছায় এ মামলা দায়ের করেছেন। সায়েদের পরিবার থাকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায়। মামলা দায়ের করার মতো অবস্থা তাদের নেই বলেও আমীর হামজার ভাষ্য।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পদত্যাগ করে তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। তিনি এখন সেখানেই অবস্থান করছেন।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ