রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে করোনার ভ্যাকসিন নেয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ছুঁই ছুঁই করছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এ সংখ্যা পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। বুধবার পর্যন্ত দেশে মোট ভ্যাকসিন গ্রহিতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৬ জন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের দুই দিনে ৭৮ লাখের বেশি মানুষ ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে। আগের দিন রেকর্ড ৬৬ লাখের বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। বুধবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ক্যাম্পেইনের বর্ধিত অংশে বুধবার ১১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩ জনকে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে মোট ৭৮ লাখ ১১ হাজার ২১৬ জনকে নতুন করে ভ্যাকসিনর আওতায় আনা হলো। যারা নিবন্ধন করেও দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাকসিনর অপেক্ষায় ছিলেন। এর আগে গত মঙ্গলবার প্রথম দিনে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ১২৩ জন নারী ও পুরুষকে। দেশে ভ্যাকসিনদান কর্মসূচি শুরুর পর যা এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ।
প্রধানমন্ত্রীর ৭৫ তম জন্মদিনকে ঘিরে দেওয়া হয় এই ভ্যাকসিন। পরিকল্পনা ছিল ৮০ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়ার। নানা জটিলতায় প্রথম দিনে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দিতে না পারায় একদিন সময় বাড়ানো হয়। এসব ভ্যাকসিন অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজারের।
এ ছাড়া বুধবার নিয়মিত ভ্যাকসিনর অংশ হিসেবে ১ লাখ ৪৮ হাজার ১১৫ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।
দেশের ৮০ শতাংশ জনগণকে ভ্যাকসিনর আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সরকারের কেনা, উপহার ও ভ্যাকসিনর বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৭ ডোজ ভ্যাকসিন হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় দেশে ভ্যাকসিনদান কর্মসূচি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৬ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৩ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার ১১০ জন। আর পূর্ণ ডোজ পেয়েছেন এক কোটি ৬৭ লাখ ৮১ হাজার ৮৮৬ জন।
ভ্যাকসিন পেতে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৪ কোটি ৮১ লাখ ৪৯ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে এখনো কোনো ভ্যাকসিনই পাননি এ কোটি ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯৬৮ জন।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ