আন্তর্জাতিক থিংক ট্যাংক ‘ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক থিংকিং’ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে ঢাকা-আঙ্কারা সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় তুরস্কের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় ৫০ বছর সময় লাগলো কেন- এমন প্রশ্ন করা হয় মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীকে। জবাবে তিনি বলেন, পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হওয়ায় তুরস্ক বিশ্বাস করতো- মুসলিম বিশ্বের ঐক্য বিনষ্ট করছে বাংলাদেশ। সত্য প্রকাশ্যে আসায় এখন তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে।
একাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানের শোষণ থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছি আমরা। এখন গোটা বিশ্বের জন্য বাংলাদেশ একটি উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের এত উন্নয়নে অনেকেই অবাক হয়ে গেছেন।
তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধে উপমহাদেশের অনেক মুসলিম সহযোগিতা করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে বাঙালিরা তুর্কিদের সাহায্যে এখানে এসেছিলেন। নিজেদের সোনাদানা বিক্রি করে এদেশের স্বাধীনতা ও সীমানা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করেছেন অনেকে। তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তফা কামাল আতাতুর্ককে নিয়ে কবিতাও লিখেছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
কামাল পাশা লেখার পর কবি নজরুলকে ‘বিদ্রোহী’ বিবেচনা করা হতো মন্তব্য করে মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর তাকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে ঢাকা-আঙ্কারার সম্পর্ক ক্রমেই বাড়ছে। সামরিক সহযোগিতা বাড়ছে, কয়েক মাসের ব্যবধানে আমাদের তিন বাহিনীর প্রধান আঙ্কারা সফর করেছেন।
আনাদোলু এজেন্সি সূত্রে জানা যায়, গোলটেবিল আলোচনায় তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান বলেন, সকল প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে আমাদের। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শান্তির দিকে মনোযোগ দিয়েছেন আমাদের নেতৃত্ব। এ সময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রশংসা করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান আরো বলেন, মিয়ানমারের ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এই সমস্যা সামলাতে সহযোগিতা করছে তুরস্ক। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ