কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ড. ইউনূসের ক্ষমতার লোভ নেই। একটি যৌক্তিক সময় পর্যন্ত তাদের ক্ষমতায় থাকতে হবে। এ সময় দুই বছরের বেশি নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাসভবনে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী।

বঙ্গবীর বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু এক নয়। আমি আশা করব, এ সরকার বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে কারা আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করবে এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করবে। এর সঠিক বিচার না করলে এ সরকারকে তার জবাবদিহি করতে হবে। বঙ্গবন্ধু এ দেশের সম্মান। তার ভাস্কর্য এভাবে ভাঙা উচিত হয়নি। এটা যদি আন্দোলনকারীরা ভেঙে থাকে, আন্দোলনের পক্ষের লোকেরা ভেঙে থাকে, তাহলে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।’

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, আমি ৬৫-৬৬ সাল থেকে আন্দোলনে জড়িত, এরকম বিপর্যয়, ধ্বংস আর জীবনহানী এত অল্প সময়ে দেখিনি। এ দেশটা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও ১৪ দলের না, দেশটা ১৮ কোটি মানুষের। ছাত্ররা যে আন্দোলন করেছে, তা বিপথে পরিচালনা করার জন্য স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে। এটা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেও নেওয়া হয়েছে। এ জন্য আমি সাবধান করব, যারা আন্দোলন করে সফল হয়েছেন, সফলতার পূর্ব শর্তই হচ্ছে ন্যায়বিচার, অন্যের প্রতি ভালো আচরণ, বিনম্রতা।’

পুলিশকে থানায় ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আইনের নির্দেশ মেনে চলবেন, কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠির নির্দেশ নয়। সারা দেশ আপনাদের পাশে থাকবে।

দেশে সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্ত করে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলেন কাদের সিদ্দিকী।

দুর্নীতির বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এ সরকার এ দেশের দুর্নীতি একেবারে শেষ করতে পারবে না। তবে যদি দুর্নীতির গলা চেপে না ধরতে পারে, তাহলে তাদের প্রতিও এ দেশের মানুষের আস্থা থাকবে না। মানুষ কিন্তু প্রথম চায় দুর্নীতিমুক্ত সমাজ। এ ১৫টা বছর এ দেশে শুধু অন্যায় হয়েছে। এ আন্দোলন কোটা সংস্কারের জন্য এত সফলতা আসেনি, বৈষম্যর জন্যও আসেনি। মানুষ ক্ষিপ্ত হয়েছে। তিন-চারটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ মানুষের ইচ্ছার বাইরে সরকার গঠন করেছে।’

নয়াশতাব্দী/জিএস