রংপুরে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাড়িতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে হেলিকপ্টারযোগে পীরগঞ্জে সাঈদের গ্রামের বাড়িতে যাবেন তিনি। সকাল ১০টায় আবু সাইদের পরিবারের সঙ্গে দেখা ও তার কবর জিয়ারত করবেন ড. ইউনূস।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান।
তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি হেলিকপ্টারযোগে আসবেন। এরপর তিনি আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিমানবন্দরে আবু সাঈদের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় তিনি বলেন, এ সময়ে আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের ছবি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এটা কেউ ভুলতে পারবে না। কী অবিশ্বাস্য একটা সাহসী যুবক বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এবং তারপর থেকে আর কোনো যুবক, কোনো যুবতী হার মানেনি। সামনে এগিয়ে গেছে এবং বলেছে যত গুলি মারো, মারতে পারো। আমরা আছি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
নিহত আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুরে গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ