পুলিশের ইন্সপেক্টর থেকে অধস্তনদের নিয়ে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের পুরনো কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি করা হয়েছে পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহেল বাকীকে। আর সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে দাউদ হোসেনকে।
আজ বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাকক্ষে ৩৯ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাকরিচ্যুত রমনা থানার সাবেক ওসি (পুলিশ পরিদর্শক) মো. মাহবুবুর রহমান।
নতুন কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল্লাহেল বাকী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন একটি অতি প্রাচীন সংগঠন। পুলিশ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণে এ সংগঠনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতনের পর থেকে দেশব্যাপী নির্যাতিত জনমানুষের ক্ষোভে পুলিশের অনেক স্থাপনা আজ ক্ষতিগ্রস্ত এবং বহু পুলিশ সদস্য আহত ও নিহত হয়েছেন। যেসব পুলিশ সদস্য খুনি হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে তারা প্রায় সবাই আজ গাঢাকা দিয়ে আছে।
তিনি বলেন, নিরীহ, নিগৃহীত সাধারণ পুলিশ সদস্যদের জীবন আজ বিপন্ন। এ ক্রান্তিলগ্নে আমরা বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে বিবেকের তাড়নায় তাড়িত হয়ে ঢাকায় অবস্থানরত বেশকিছু সংখ্যক সদস্য মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সমিতির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এক জরুরি বৈঠক করা হয়।
তবে সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বহু চেষ্টা করেও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এমতাবস্থায় সহজেই অনুমিত হয় যে, পতিত স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে জনরোষ এড়াতে তারা আত্মগোপন করেছেন। তাই পুলিশের এ কঠিন দুঃসময়ে অধস্তন পুলিশ সদস্যদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছানোর লক্ষ্যে উপস্থিত সদস্যদের সর্ব সম্মতিক্রমে আগের কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কার্যনিবাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহেল বাকী আরো বলেন, বর্তমান সমিতির যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দেশ ও জনগণের জানমাল রক্ষার স্বার্থে পুলিশ সদা কর্তব্যরত। আমরা এহেন দায়িত্বজ্ঞান বর্জিত কাজ সম্পূর্ণরূপে বেআইনি ও ভিত্তিহীন বলে ঘোষণা করছি।
নবগঠিত কার্যনিবাহী কমিটি মনে করে, কর্মবিরতি আহ্বানের মাধ্যমে তারা দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রমূলক কাজে লিপ্ত রয়েছে। পুলিশ জনগণের সেবক।
দেশ ও জনগণের জানমাল রক্ষার স্বার্থে পুলিশ সদা কর্তব্যরত। আমরা এহেন দায়িত্বজ্ঞান বর্জিত কাজ সম্পূর্ণরূপে বেআইনি ও ভিত্তিহীন বলে ঘোষণা করছি।
নতুন বিজয়ের এ আনন্দ যাতে কোনওভাবেই ম্লান না হয় সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জনআকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করার জন্য অধস্তন সব পুলিশ সদস্যকে উদাত্ত আহ্বান করা যাচ্ছে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ