নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে আজ বুধবার (৭ আগস্ট) অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হতে পারে বলে জানা গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সদস্যের দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বৈঠকের পর এ কথা জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরবর্তী করণীয় ড. ইউনূসই ঠিক করবেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের থাকা সদস্যদের চূড়ান্ত নাম প্রকাশ করা হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ থেকে ১৫ সদস্যের নামের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিন বাহিনীর প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়। রাষ্ট্রপতি তাদের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ সংকট উত্তরণে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা জরুরি। উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যান্য সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেন।
নাহিদ বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতি কাছে একটি তালিকা দিয়েছি। তালিকাটি এখন প্রকাশ করব না। প্রাথমিক তালিকায় আমরা ১০ থেকে ১৫ জনের নাম দিয়েছি।
জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত লড়াইয়ের ময়দান ছাড়ার সুযোগ নেই : ছাত্রশিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম
নাহিদ জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরবর্তী করণীয় ড. ইউনূসই ঠিক করবেন।
নাহিদ আরও বলেন, প্রাথমিক তালিকায় নাগরিক সমাজসহ ছাত্রপ্রতিনিধির নাম দেয়া হয়েছে। দ্রুতই সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে।
এর আগে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিন বাহিনীর প্রধানরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক।
বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের প্রস্তাবের সাথে একমত পোষণ করেন।
এছাড়া তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন দেয়ার পরামর্শ দেন। রাষ্ট্রপতি সংকট উত্তরণে দেশবাসীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন সমন্বয়ক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ