ঢাকা, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাংলাদেশে ভিপিএন ব্যবহার কি অবৈধ কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ

প্রকাশনার সময়: ৩১ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৬

পরিচয় গোপন করে ইন্টারনেট ব্যবহার করার উপায় হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন। ভিপিএনের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন রাখা। ভিপিএনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড গোপন রেখেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট বিক্ষোভ-সহিংসতার কারণে বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যার ফলে দেশে ভিপিএনের ব্যবহার অধিক হারে বেড়েছে।

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও নিউজ ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাক্সেস সীমিত করা হয়েছে, যাতে বিক্ষোভকারীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে না পারে এবং উসকে দেওয়ার মতো তথ্যের প্রচার রোধ করা যায়। তবে, এর ফলে ভিপিএনের ব্যবহার বেড়েছে। গত কয়েক দিনে বাংলাদেশ থেকে ভিপিএন ব্যবহারের হার পাঁচ হাজার গুণ বেড়েছে। কারণ, মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার ও নিরাপদে যোগাযোগের বিকল্প উপায় খুঁজছেন।

বাংলাদেশে ভিপিএন করা কি বৈধ নাকি অবৈধ? এককথায় এর উত্তর হলো দেশে ভিপিএন ব্যবহার করা অবৈধ নয়। দেশে এখনো ভিপিএনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়নি। কিংবা প্রযুক্তিগত কারণে এর ব্যবহার বন্ধ করারও উপায় নেই।

সম্প্রতি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ভিপিএন ব্যবহারে সতর্ক করেছেন। পাশাপাশি এই প্রাইভেট নেটওয়ার্ক টানেল ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ভিপিএন থেকে বিরত থাকি। তথ্য সুরক্ষার জন্য বিরত থাকি। ভিপিএন যে দিচ্ছে, সে পুরো তথ্যউপাত্ত পাচ্ছে। ভিপিএন চালু রেখে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আর্থিক লেনদেন করলে, গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীল তথ্য অন্যের কাছে চলে যেতে পারে।

তিনি বলেন, `বিদ্যুৎ জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, ব্যাংক ও তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকিতে আছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের মদদে দেশে সাইবার হামলার অপচেষ্টা চলছে।'

এভিপিএন নিয়ে নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞ ও এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার-এপিনিকের নির্বাহী কমিটির সদস্য সুমন আহমেদ সাবির জানান, ভিপিএন একটি বৈধ প্রযুক্তি। ভিপিএন ব্যবহার করা হয় নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার ও তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

এসব বিবেচনায় সুমন আহমেদ বললেন, `ভিপিএনের মূল উদ্দেশ্য হলো সাইবার জগতে নিরাপত্তা দেওয়া। ভিপিএন সাইবার ঝুঁকি বাড়ায় না বরং কমায়।'

তবে ভিপিএন ব্যবহার করতে ইন্টারনেটের বেশি ব্যান্ডউইডথের প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেটাও ১০ শতাংশের বেশি না। আর ব্যবহারকারী ব্যান্ডউইডথ তথা ইন্টারনেট তো নিজের টাকায় কিনে ব্যবহার করেন। এতে আর্থিক ক্ষতি হলে তার হবে, অন্য কারও নয়। ভিপিএন ব্যবহার করে কেউ প্রতারণা করতে পারে, এ ধরনের সাইবার প্রতারণা বা সাইবার হামলা ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যারের মাধ্যমেই হতে পারে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ