কোটা আন্দোলনে হতাহতের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছে সরকার। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্তে ‘বিদেশি কারিগরি সহায়তা’ নেবে এ লক্ষ্যে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ‘জাতিসংঘের সহায়তার’ আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।
রবিববার (২৯ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শিকার শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের হত্যার বিচার দাবি করেছেন দেশের ৭৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা বলেছেন, আন্দোলনকালে শিক্ষার্থীসহ শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের নিহত, আহত ও নির্যাতিত হওয়ার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করতে হবে। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে তদন্তের স্বার্থে তা জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে হওয়া জরুরি। তাই তারা জাতিসংঘকে এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
এছাড়া আন্দোলন চলাকালে হতাহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তার প্রেস সচিব।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের যে জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি (তদন্ত) কমিটি (গঠিত হয়েছে), তাদের সুষ্ঠু ইনকোয়ারি করার জন্য, তাদের ইনকোয়ারিটা যেন খুব উচ্চমানের হয়, এ জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে। ’
তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘ইতোমধ্যে জাতিসংঘের সাথে সহযোগিতার (সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনকে সহায়তা) ব্যাপারে যোগাযোগও হয়েছে। যোগাযোগ বলতে জাতিসংঘ আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশও তার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে। ’
জার্মান রাষ্ট্রদূতকে উদ্বৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারা (জার্মানি) দৃঢ় আশাবাদী যে, একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট (স্বাধীন) ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) হবে। যারা দুর্বৃত্ত তারা চিহ্নিত হবে এবং তাদের বিচার হবে। ’
রাষ্ট্রদূতকে উদ্বৃত করে প্রেস সচিব বলেন, ‘যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোন সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) নাই। ’
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ