আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত ছাত্রলীগের নারী নেত্রীরা। এ সময় তারা নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আজ সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রীরা সেই রাতে ঘটে যাওয়া তাদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেন। এ সময় তাদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাবা-মা সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। তার পরও এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমি কাজ করেছি। বাংলাদেশকে একটি সম্মানের জায়গায় নিয়ে এসেছিলাম, সেটিকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে ‘
সাম্প্রতিক ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের আন্দোলন করতে এবং আমাকে খাটো করতে গিয়ে বাংলাদেশটাকে কোথায় টেনে নামালো সেটা একবার চিন্তা করে না। এদের মধ্যে যদি এতটুকু দেশপ্রেম থাকতো, দায়িত্ববোধ থাকতো—তাহলে এটা করতো না।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের যে মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করি, সেগুলো নষ্ট করে দেওয়া। এ আন্দোলনের ঘাড়ে চেপে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সুযোগ পেয়ে গেলো। তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে—অপরাধটা কী করলাম? মানুষের জীবনমান উন্নত করা? মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করা? চিকিৎসার ব্যবস্থা করা? বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিচ্ছি।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ