পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগের আগে আট দিনে কমিউনিটি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা তুলেছেন। হাইকোর্টের জন্য তৈরি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে অগ্রগতি প্রতিবেদনটি দাখিল করার কথা রয়েছে।
দুদক গত ২২ এপ্রিল বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের দেশে-বিদেশে সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে। এই অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ২৩ থেকে ৩০ এপ্রিল আট দিনে কমিউনিটি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা তোলেন বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যরা।
বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জা, মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর, মিজ তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীর ও মিজ যাহরা যারীন বিনতে বেনজীর গত ৩ মে পর্যন্ত দেশে ছিলেন। পরদিন তারা সিঙ্গাপুর চলে যান।
দুদকের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে অনেক অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যও রয়েছে। ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে চলতি, সঞ্চয়ী, স্থায়ী আমানত, বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব রয়েছে।
অনুসন্ধানে কমিউনিটি ব্যাংকের করপোরেট শাখায় বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের হিসাব পর্যালোচনা করা হয়।
এতে দেখা যায়, দুদক অনুসন্ধান শুরুর পরদিন থেকে দ্রুততম সময়ে ওই সব হিসাব থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কমিউনিটি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে চলতি হিসাব থেকে গত ২৩ থেকে ৩০ এপ্রিল আট দিনে ১২ কোটি ৭৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৮ টাকা তুলেছেন বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক করপোরেট শাখার তিনটি হিসাব থেকে ২৩ থেকে ২৯ এপ্রিল সময়ে ৬ কোটি ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৮ টাকা তোলা হয়। এই ব্যাংকে বেনজীর আহমেদের একটি, তাঁর স্ত্রীর একটি ও বড় মেয়ের একটি হিসাব থেকে এই টাকা তুলে নেওয়া হয়।
এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখা থেকে সাউদার্ন বিজনেস ইনিশিয়েটিভের চলতি হিসাব থেকে ২৯ এপ্রিল ৩ কোটি ও ৩০ এপ্রিল ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। বেনজীরের মালিকানাধীন সাভানা ফার্ম প্রডাক্টসের চলতি হিসাব থেকেও ৩০ এপ্রিল তোলা হয় ১৪ লাখ টাকা।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ