ঢাকা, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

যে কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে গতি ফিরতে বিলম্ব হচ্ছে

প্রকাশনার সময়: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৪

টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই থেকে ঢাকায় এবং ২৪ জুন থেকে দেশজুড়ে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালুর ঘোষণা দেয় সরকার। ওই ঘোষণা অনুযায়ী, শুধু ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ চালু করে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরগুলো। সবশেষ ২৫ জুন বিকেলে নির্দেশনা দেয়া হয় গুগল ক্যাশ সার্ভার খুলে দেয়ার। কিন্তু নেই ইন্টারনেটের স্পিড বা গতি। এতে সাধারণ গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।

ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)'র সভাপতি মো. এমদাদুল হক বলেন, মোবাইল ডেটা ও স্থানীয় ক্যাশ সার্ভার বন্ধ থাকার কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের স্পিড স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ভাগের এক ভাগে রয়েছে।

তিনি বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট এবং সংযোগবিচ্ছিন্ন ক্যাশ সার্ভার চালু না করলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিও বাড়বে না। বর্তমানে দেশের সব সংযোগ চালু করার পরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের পুরো ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে।

এমদাদুল হক বলেন, বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা যে পরিমাণ ইন্টারনেট ট্রাফিক তৈরি করেন, তার ৮০ শতাংশের বেশি পূরণ করে স্থানীয় ক্যাশ সার্ভারগুলো।কিন্তু এখন ক্যাশ সার্ভার কাজ না করায় সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ট্রাফিক আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ ৬,৩০০ জিবিপিএস এর বেশি। ক্যাবল বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাধ্যমে এর ৫৫ শতাংশ ব্যবহার হয়। বাকি ৩ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয় মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে। কিন্তু এখন কেউই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। তারাও ঝুঁকেছেন ব্রডব্যান্ডে। এতে ব্রডব্যান্ডের ব্যান্ডউইথে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। এরমধ্যে লোকাল ক্যাশ সার্ভার বন্ধ থাকার ফলে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বহুগুণ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ক্যাশ সার্ভার হলো তথ্য সংরক্ষণ বা ধারণ করার নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক সার্ভার বা সেবা। এতে স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত ওয়েবপেজ ও অন্যান্য ইন্টারনেট কনটেন্ট সেভ করা থাকে। অস্থায়ী স্টোরেজ বা ক্যাশ থেকে আগের ব্যবহৃত তথ্য প্রদানের নির্দেশ দিয়ে ক্যাশ সার্ভার ইন্টারনেট ডেটার গতি বাড়াতে এবং একই সঙ্গে ব্যান্ডউইথের চাহিদা কমাতে ভূমিকা রাখে।

দিকে মোবাইলের ফোর–জি নেটওয়ার্ক চালুর ব্যাপারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, মোবাইল ইন্টারনেট ছাড়ার বিষয়ে ২৬ ও ২৭ জুলাই মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সেই বৈঠকের সফলতার ওপর ভিত্তি করেই ২৮ কিংবা ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে ফোর–জি সংযোগ আবার চালু করে দেয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ