ঢাকা, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় আইসিটি খাতে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি’

প্রকাশনার সময়: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১২:৩১

ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিদিন শুধু তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানিতে ক্ষতি ৭০-৮০ কোটি টাকা। পাঁচ দিনে সফটওয়্যার খাতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০০ কোটি টাকার ওপরে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কা করছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় সংগঠনটি। এ সময় বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন নেতারা এবং দেশের আইসিটি খাতের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাসেল টি আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সরকার একমত হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখেছি, এ সুযোগে কিছু নাশকতাকারী নাশকতা করেছে, সেটা একেবারেই কাম্য নয়। পরিকল্পিতভাবে এ ক্ষতি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে আমাদের আইসিটি খাতের সবার ক্ষতি। আমাদের বেসিস সদস্যদের যে ব্যবসা, তার প্রায় পুরোটাই ইন্টারনেটনির্ভর। রপ্তানিমুখী তথ্যপ্রযুক্তি সেবা বিরাট ধাক্কা খেয়েছে। গত চার-পাঁচ দিনে ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

বেসিস সভাপতি বলেন, আমাদের গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ নেই। এতে দেশের বিপুল পরিমাণ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী চাকরি হারাবেন। বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের পরিবর্তে তুলনামূলক সুবিধাজনক অন্য কোনো বিকল্প দেশ খুঁজবেন। কয়েক লাখ তথ্যপ্রযুক্তি ফ্রিল্যান্সার কাজ হারাবেন। সব মিলিয়ে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

ডাটা সেন্টারে হামলা ও নাশকতাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রাসেল টি আহমেদ বলেন, গত ১০-১৫ বছরের নেটওয়ার্কের সুরক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নিয়মিত নেটওয়ার্ক টপোলজি অডিট করা হলে এমন দুর্যোগে পড়তে হতো না।

দেশীয় আইসিটি খাতে কর্মরতদের মধ্যে ৩০ শতাংশ জনবলের চাকরি হারানোর আশঙ্কা করে বেসিস সভাপতি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক গ্রাহক হারালে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো মুখ থুবড়ে পড়বে। এরই মধ্যে কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ থেকে আমাদের গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, যেন তারা বাংলাদেশের বদলে তাদের দেশ থেকে আইটি-আইসিটি সেবা নেন। আর এমনটা হলে বাধ্য হয়েই কর্মী হ্রাসের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ নিতে হবে উদ্যোক্তাদের।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম রাশেদুল হাসান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, সহ-সভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ, পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল প্রমুখ।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ