কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকটি হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে হল কর্তৃপক্ষ। ছাত্ররাজনীতি আর থাকবে না- এ মর্মে লেখা ভিন্ন ভিন্ন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন হলের প্রভোস্টরা।
আজ বুধবার (১৭ জুলাই) মধ্যরাত থেকে এ ঘোষণা দেয়া শুরু হয়।
এখন পর্যন্ত ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলগুলো হলো- শহীদুল্লাহ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল, অমর একুশে হল, রোকেয়া হল, হাজী মহম্মদ মুহসীন হল, কুয়েত মৈত্রী হল, জহুরুল হক হল, রোকেয়া হল, শামসুননাহার হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও সুফিয়া কামাল হল।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে ছাত্রীদের লিখিত অঙ্গীকারনামায় প্রথম স্বাক্ষর করেন রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. নীলুফার পারভীন।
এতে আরও বলা হয়, আমরা হলের মেয়েরা যদি এসব দলের দ্বারা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই, তাহলে এই দায় প্রশাসন ও হল প্রভোস্টকে নিতে হবে। আজ থেকে রোকেয়া হলকে ছাত্র রাজনীতি মুক্ত ঘোষণা করা হলো।
একই ধরনের অঙ্গীকারনামায় রাত সোয়া ৩টা নাগাদ স্বাক্ষর করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. ফারহানা হক।
আধা ঘণ্টার ব্যবধানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন শামসুননাহার হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট হাফসা আক্তার এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট ড. গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী।
এছাড়া বিজয় একাত্তর হলের ফটকে ভোর থেকে ছাত্রলীগের অবস্থান দেখা গেলেও সকাল ৭টায় শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের হল ছাড়া করেন এবং বিভিন্ন নেতার কক্ষে ও ছাত্র সংসদ কক্ষে ভাঙচুর চালান বলে জানা গেছে।
এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আজ গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল কর্মসূচি পালন করবেন আন্দোলনকারীরা।
দুপুর ২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ