আট বছর আগে কাগজে-কলমে সিটি কর্পোরেশন ভুক্ত এলাকা। তবে বাস্তবে কর্পোরেশনের তেমন কোনো সুবিধা পাননি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুন ওয়ার্ডগুলোর বাসিন্দারা। বছরের পর আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সিটি কর্পোরেশনে আসার কারণে ইউনিয়ন পর্যায়ের উন্নয়ন কার্যক্রম থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন এসব ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। উল্টো তাদের বহন করতে হচ্ছে পৌরকরের বোঝা। আবার ২-১টি স্থানে ছিটেফোঁটা উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও দীর্ঘদিনেও তা শেষ না হওয়ায় জনভোগান্তি চরমে ঠেকেছে। সব মিলিয়ে নতুন ওয়ার্ডগুলোতে এখনো অধরা উন্নয়ণ।
অভিযোগ রয়েছে, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া নতুন অধিকাংশ ওয়ার্ডে এখনো সিটি কর্পোরেশনের সেবা তথা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। অথচ নবসম্পৃক্ত এসব ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বহন করতে হচ্ছে পৌরকর। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে যুক্ত হওয়া কিছু কিছু ওয়ার্ডে সম্প্রতি উন্নয়ন কাজ কিছুটা হলেও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে যুক্ত হওয়া নতুন ওয়ার্ডগুলোতে কেবল উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে দুই সিটির এসব ওয়ার্ডে উন্নয়নের ছোঁয়া পেতে আরও সময় লাগবে।
সিটি কর্পোরেশন এলাকার সেবা হিসেবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সড়ক উন্নয়ন, সড়কবাতি ও জলাবদ্ধতা নিরসন করার কথা সংস্থারই। কিন্তু নতুন ওয়ার্ডগুলোতে এখনো এসবের তেমন কোনো সেবাই পৌঁছেনি। পয়ঃনিষ্কাশন, মশা নিয়ন্ত্রণসহ কোনো সুবিধা বা সেবাই পাচ্ছেন না বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, সীমানা নির্ধারণ হচ্ছে, বিভিন্ন কাজ হচ্ছে। কিন্তু দরকার কার্যকর প্রকল্প ও বিনিয়োগের মাধ্যমে এলাকাগুলোকে সিটি কর্পোরেশনের উপযোগী করা। সেটাই তো করা যাচ্ছে না। কিন্তু ট্যাক্স নেয়া হচ্ছে। পৌরকর নিয়ে নাগরিক সেবা না দেয়া এক ধরনের প্রতারণার শামিল হয়। সে জন্য হয় পৌরকরের ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হবে বা শিথিল করতে হবে অথবা কোনো না কোনো প্রণোদনা দিতে হবে। অথবা দ্রততম সময়ে কী করে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায় সেটিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
জানা গেছে, দৈনন্দিন ও অন্যান্য সেবামূলক কার্যক্রম নিশ্চিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্প্রসারিত অংশে নবগঠিত ৩৬টি ওয়ার্ডকে দশটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ৯ মে সচিবালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভায় ঢাকার আশপাশের ১৬টি ইউনিয়নকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন পায়। এরপর ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্প্রসারিত অংশে নবগঠিত ৩৬টি ওয়ার্ডকে দশটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া, ডেমরা, মান্ডা, দক্ষিণগাঁও ও নাসিরাবাদ ইউনিয়নকে ৫৮, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অপরদিকে বাড্ডা, ভাটারা, সাঁতারকুল, বেরাঈদ, ডুমনি, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও হরিরামপুর ইউনিয়নকে ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সেবাগুলো প্রদানে এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ঈদগাহ, শিশু পার্ক, এসটিএস, পাবলিক টয়লেট ওয়াসার পাম্প-বিদ্যুতের উপকেন্দ্র স্থাপন, কবরস্থান, কমিউনিটি সেন্টারসহ নানা স্থাপনা নির্মাণের জন্য কিছু জায়গা পেলেও বাকিটা জায়গা খুঁজছেন তারা। জায়গা পেলে এ সবের কাজ শুরু হবে। নতুন ওয়ার্ডগুলোতে পূর্ণাঙ্গ সেবা পেতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে সূত্র জানায়।
অন্যদিকে ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের অধিকাংশেই এরই মধ্যে প্রাথমিক উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। বাকি ওয়ার্ডেও পর্যায়ক্রমে শুরু হবে। মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোকে বাসযোগ্য নগরীর রূপ দিতে শিগগিরই কাজ শুরু হবে। তবে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ইউনিয়নগুলোকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ বলে জানা গেছে। এদিকে ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশন কর্তৃক প্রাপ্ত সেবাগুলো প্রদানে নবগঠিত পাঁচটি অঞ্চলের প্রতিটির জন্য একটি আঞ্চলিক কার্যালয়, কমপক্ষে একটি কমিউনিটি সেন্টার, একটি আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টার, একটি কেন্দ্রীয় এসটিএস, একটি শিশু পার্ক, একটি কবরস্থান, একটি শ্মশান ঘাট, একটি মার্কেট, কমপক্ষে একটি ঈদগাহ ও একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি অঞ্চলের জন্য ২৫ দশমিক ৪০ একর জায়গা লাগবে। এছাড়া সম্প্রসারিত এলাকাগুলোর জন্য একটি স্থায়ী পশুর হাট ও একটি ল্যান্ডফিল স্থাপন করা হবে। এজন্য মোট ৬০ একর জায়গার প্রয়োজন হবে। সম্প্রসারিত এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের জন্য সর্বমোট ৬০২ দশমিক ৮০ একর জায়গা লাগবে।
এ বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সম্প্রসারিত এলাকা সুপরিকল্পিতভাবে আধুনিক নগরীতে রূপান্তর করা হবে। এসব এলাকার জনসাধারণ যেন সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে সরকার শুরু থেকেই সচেতন। এরই মধ্যে ডিএনসিসির সম্প্রসারিত নবগঠিত ১৮ ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ সেবা-উন্নয়নের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। তিনি বলেন, ডিএনসিসি’র নবগঠিত প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ঈদগাহ, শিশু পার্ক, কমপক্ষে তিনটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভবন বা সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস), তিনটি পাবলিক টয়লেট এবং ওয়াসার পাম্প-বিদ্যুতের উপকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলোর জনপ্রতিনিধিসহ বাসিন্দারা বলছেন, ইউনিয়নগুলোর দায়িত্ব এখনো নেয়নি সিটি করপোরেশন। এ কারণে সরকারি বরাদ্দও আসছে না। আবার যেহেতু এসব ইউনিয়ন সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত তাই ইউনিয়ন পর্যায়েও উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ডিএসসিসি’র সঙ্গে যুক্ত হওয়া মান্ডা এলাকার বাসিন্দা মাইদুল ইসলাম বলেন, এলাকায় রাস্তা সংস্কার, জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা রয়েছে। এসব কাজের বিষয়ে জনপ্রতিনিধির কাছে গেলে তারা বলেন, এখন সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, সব কাজ তারাই করবে। কিন্তু উন্নয়নের কোনো কাজই তো চোখে পড়ছে না। অপরদিকে ডিএনসিসি’র অন্তর্ভুক্ত নতুন এলাকা দক্ষিণ খান আদর্শ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সরকারি হিসাবে দক্ষিণ খান আদর্শ ইউনিয়নের আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার। বসবাসকারীর সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি। আট বছর আগে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হলেও নাগরিক সুবিধা মিলছে না। আর সিটি কর্পোরেশনে আসার কারণে ইউনিয়ন পর্যায়ের উন্নয়ন কার্যক্রম থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন বাসিন্দারা। রাস্তা সংস্কারসহ সব ধরনের নাগরিক সেবাই স্থবির হয়ে পড়েছে। সিটি কর্পোরেশন ভুক্ত হওয়ার পর থেকেই মেগা প্রকল্পের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনো পরিবর্তন আননা সম্ভব হয়নি। নতুন ওয়ার্ডগুলোর সার্বিক উন্নয়নে ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদনও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বৈশ্বিক সংকটের কারণে এখনো পর্যন্ত পুরো অর্থ ছাড় না হওয়ায় বড় কাজে হাত দিতে পারছে না নগর কর্তৃপক্ষ। যতটুকু অর্থ সরকার ছাড় করেছে, তার সঙ্গে ডিএনসিসি’র নিজস্ব তহবিল থেকে যুক্ত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু কাজ শুরু করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তবে সেই কাজের সুফল এখনো অধরা নগরবাসীর কাছে। দীর্ঘদিনের জলজট ও যানজটমুক্ত হতে আরও সময় চায় সিটি করপোরেশন। মেগা প্রকল্পের আওতায় নতুন ওয়ার্ডগুলোকে আধুনিক স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরের চেষ্টা করছেন মেয়র। অর্থ না থাকায় সেই কাজে গতি নেই।
ডিএনসিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে প্রথম পর্যায়ের উন্নয়ন কাজের জন্য ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা অনুমোদন করে। এরপর ২০২২ সালের ৬ মার্চ প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উন্নয়ন বঞ্চিত নবসম্পৃক্ত ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে একটি হলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড। ভয়াবহ মশার উপদ্রব আর রাস্তার খানা-খন্দে জর্জরিত এ ওয়ার্ডের পশ্চিম নন্দীপাড়া। সিটি করপোরেশনের অধীনে এলেও এখানে নেই কোনো ভালো স্কুল, কলেজ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খেলার মাঠ। এসব এলাকায় মিলছে না সিটি কর্পোরেশনের সেবাগুলো। নেই কোনো স্যুয়ারেজ সিস্টেম। প্রায় এক লাখ বসতীর জন্য এ এলাকায় ওয়াসার তিনটি পানির পাম্প থাকলেও সচল মাত্র একটি। ফলে মাসে দু-একবার পানির জন্য হাহাকার থাকে এ এলাকায়।
শিগগিরই সব ধরনের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আজিজুল হক বলেন, ‘সব ধরনের নাগরিক সুবিধার জন্য কাজ করছি। ওয়ার্ডটি নতুন হওয়ায় সব কাজ শুরু করতে হচ্ছে নতুন করে। পর্যায়ক্রমে সব সমস্যার সমাধান হবে। ওয়ার্ডটিকে আরও সুন্দর করে তুলতে সরকারের পাশাপাশি জনগণের সাহায্যও প্রয়োজন।’
অন্য দিকে উত্তর সিটির অন্তর্ভুক্ত বাড্ডার সাঁতারকুল মৌজার পাদুরদিয়া, মগারদিয়া, পাঁচখোলা ও সাঁতারকুল বাজার নিয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪১ নং ওয়ার্ড। কিছুদিন আগেও ওয়ার্ডটি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এখানে দেখা মিলবে— মাটির রাস্তা, বাঁশের সাঁকো আর ভাঙা-সরু রাস্তা। নেই ওয়াসার পানি, পয়ঃনিষ্কাশনের লাইন, সড়ক বাতিসহ, সিটি কর্পোরেশনের কোনো সুবিধা। বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। সাঁতারকুল বাজারে এখনো দেখা মিলবে মেঠো পথ। নেই খেলার মাঠ বা ভালো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এলাকার এসব সমস্যার কথা স্বীকার করে ডিএনসিসি’র ৪১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন বলেন, ‘ওয়ার্ডের উন্নয়নে এখন পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশন থেকে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো বাজেট পাওয়া যায়নি। বাজেট পেলেই উন্নয়নমূলক কার্যক্রম শুরু হবে।’
এছাড়া ডিএনসিসি’র ৪৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের এখনো নিশ্চিত হয়নি সিটি কর্পোরেশনের ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা। উত্তরখান থানার কাঁচকুড়া, দোবাদিয়া, ভাঁতুড়িয়া ও বেঁতুলি নিয়ে ৪৪নং ওয়ার্ড গঠিত। এ এলাকার বেশীর ভাগই রাস্তা সরু এবং মাটির। এসব রাস্তার বিভিন্ন অংশে আবার গর্তে ভরা। এসব এলাকায় এখনো পৌঁঁছায়নি ওয়াসার পানি, গ্যাস লাইন, পয়ঃনিষ্কাশনের লাইন, সড়ক বাতিসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা।
এলাকার এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ডিএনসিসি’র ৪৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাইদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, বাজেট হাতে পেলেই এ এলকার উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হবে।
নয়াষতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ