বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মবিরতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেছেন, শিক্ষকদের দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে।
আজ শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১১টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হয়। বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, এটাই সত্য সবাইকে পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করার তারিখ হচ্ছে ২০২৫ সালের ১ জুলাই। এটা তাদের আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া শিক্ষকদের দাবি সুপার গেট ও স্বতন্ত্র উচ্চগত স্কেল প্রদানের বিষয়টি আলোচনা হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকদের মর্যাদা, আর্থিক সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি আলোচনা করে, তারা লিখিত যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা সরকারের উচ্চপর্যায়ে; প্রধানমন্ত্রী কাছে আমরা উত্থাপন করব।
তিনি আরও বলেন, এদিন ১৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি ও শিক্ষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও শিক্ষা উপদেষ্টাসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।
৪ জুলাই এ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা স্থগিত করা হয়। কারণ হিসেবে ওই সময় বলা হয়েছিল ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকবেন বিধায় বৈঠকটি হচ্ছে না।
গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এর কিছু বিষয় স্পষ্ট করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা বলেন, তাদের চলমান এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যয় স্কিম সম্পর্কে ব্যাখ্যায় বলেছে, ১ জুলাই থেকে এ স্কিম যাত্রা করেছে। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই বা এরপর যোগদানকারী সব কর্মচারী বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন। ১ জুলাইয়ের আগে যোগদানকারীরা পুরোনো নিয়মেই পেনশন পাবেন। অনুরূপ ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষও।
এক বার্তায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৩০ জুনের আগে চাকরিতে যোগদানকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নতুন স্কিমে যুক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্পষ্টীকরণ ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান, আমরা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চাচ্ছি।
আমাদের তিনটি মূল দাবি রয়েছে- প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন।নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ