ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জলে ‘স্থবির’ রাজধানী

প্রকাশনার সময়: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৩

ভোর থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে নৌকা চলার মতো অবস্থা তৈরী হয়। এতে বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসী ও শ্রমজীবী মানুষ প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েন। রাস্তাগুলো জলমগ্ন হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। কোনো কোনো এলাকায় যান চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। জলমগ্নতার ফলে মহানগরজুড়ে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়। স্থবির হয়ে পড়ে জনজীবন। নগরবাসী পড়েন প্রচণ্ড দুর্ভোগে।

ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার সকালে বাইরে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা অন্য দিনের চেয়ে কম ছিল। তবে সকালে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা থাকায় এতে অংশগ্রহণকারীদের বিপাকে পড়তে হয়। বৃষ্টির সঙ্গে যানবাহনের স্বল্পতায় পড়তে হয় অনেককে। সকাল ৯টা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে অনেকেই যথাসময়ে বাসা থেকে বের হতে পারেননি। আবার এ সুযোগে সিএনজি-রিকশাচালকরা ভাড়া দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাধ্য হয়ে বেশী ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে হয়েছে তাদের।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ৬ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিলিমিটার। এটা চলতি বর্ষা মৌসুমের স্বাভাবিক অবস্থায় রাজধানীতে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি। আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় গত ২৭ মে রাজধানীতে এক দিনে সবচেয়ে বেশী বৃষ্টি হয়েছিল ২২৪ মিলিমিটার। সেটি মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টি নয়, তা ছিল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবজনিত বৃষ্টি।

প্রচণ্ড বৃষ্টিতে রাজধানীর বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় অনেক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ফকিরেরপুল, নয়াপল্টন, বায়তুল মোকাররম, তোপখানা রোড, মৎস্য ভবন, কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর, মালিবাগ মোড়, আরামবাগ, প্রগতি সরণী, নিউমার্কেট, ধানমন্ডির রাপা প্লাজা, মিরপুরের রোকেয়া সরণি, পুরোনো ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়, বংশাল, নিমতলীর টয়েনবি সার্কুলার রোড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, নিয়ম অনুসারে প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর বৃষ্টি পরিমাপ করা হয়। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৬০ মিলিমিটার। পরের তিন ঘণ্টায় পরিমাণ আরো বেড়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৭০ মিলিমিটার। সব মিলে ৬ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড ১৩০ মিলিমিটার। রাজধানীজুড়েই গতকাল ভোর থেকে মৌসুমের স্বাভাবিক ভারী বৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ নেওয়াজ কবির বলেন, বৃষ্টি পুরোপুরি থেমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। থেকে থেকে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টি ঝরতেই থাকবে রাজধানীজুড়ে।

আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজধানীসহ প্রায় সারা দেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশী বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে ৩০৯ মিলিমিটার। এ ছাড়া সন্দ্বীপে বৃষ্টি হয়েছে ২১৯ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ১০২ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অফিস জানায়, মৌসুমী বায়ু এখন অতিমাত্রায় সক্রিয় থাকার কারণেই এ ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ মৌসুমী বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ এবং ভারতের আসাম হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। বাংলাদেশ ও বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু অতিমাত্রায় সক্রিয় থাকায় উপকূলীয় এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। দেশের ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে চলেছে।

মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তা আরো অন্তত তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকবে। তবে আজ শনিবার থেকে অতিমাত্রার সক্রিয়তা কমে আসবে। এর ফলে আজ থেকে মাঝে মধ্যে হালকা আবার মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হলেও এমন ভারী বর্ষণ হবে না বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত নাগরিকদের পানির কষ্ট থেকে মুক্ত করতে বেশ তৎপর হয়ে মাঠে নেমেছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। পানি সরাতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাঁচ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং ১০টি কুইক রেসপন্স টিম কাজ শুরু করে। সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পাঁচ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী। এ ছাড়া ১০টি অঞ্চলে কাজ করছে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম (QRT)। প্রতিটি কুইক রেসপন্স টিমে ১০ জন কর্মী ছিল। ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনে কল্যাণপুরে ডিএনসিসির পাঁচটি পাম সকাল থেকে একযোগে কাজ করে। অল্প সময়ে নিরবচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পানি অপসারণ হতে কিছুটা সময় লাগে বলে জানায় সিটি করপোরেশন। জলাবদ্ধতা নিরসনে কুইক রেসপন্স টিম পাঠিয়ে বিভিন্ন স্থানে ড্রেন পরিষ্কার করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়। কোথাও কোনো পানি জমে থাকলে ডিএনসিসির হটলাইন ১৬১০৬ নম্বরে ফোন করে জানালে কুইক রেসপন্স টিম ব্যবস্থা নেয়।

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশে প্রকৌশল বিভাগ, বর্জ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ভোর থেকে কাজ করে। জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকী করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে প্রধান প্রধান সড়কগুলো থেকে পানি নিষ্কাশন করা হয়েছে। অল্প সময়ে নিরবচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পানি অপসারণ হতে কিছুটা সময় লেগেছে। এখনো যেসব অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে কুইক রেসপন্স টিম পাঠিয়ে সেইসব অঞ্চলের ড্রেন পরিষ্কার করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। কোথাও কোনো পানি জমে থাকলে ডিএনসিসির হটলাইন ১৬১০৬ নম্বরে ফোন করে জানালে কুইক রেসপন্স টিম ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমে এ মুহূর্তে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও প্রকৌশলী বিভাগের ১০০টি টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছে। জানানো হয়, কমলাপুর টিটি পাড়া পাম্প স্টেশনে ৫ কিউমেক ক্ষমতা সম্পন্ন দু’টি বড় পাম্প এবং পাঁচ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি ছোট পাম্প সচল ছিল। ধোলাইখাল পাম্প স্টেশনে ৭.৫ কিউমেক ক্ষমতা সম্পন্ন দু’টি পাম্প সচল ছিল। অর্থাৎ বড় চারটি ও ছোট তিনটি পাম্প মিলিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ২৫ হাজার ৪২৫ লিটার পানি নিষ্কাশন করা হয়। এ ছাড়া হাতিরঝিল স্লুইস গেট চালু ছিল।

যেসব এলাকার রাস্তা ডুবেছে

পুরান ঢাকা: পুরান ঢাকায় পানি জমেছে সবচেয়ে বেশী। নাজিরাবাজার ও কাজী আলাউদ্দিন রোডে হাঁটু পানি। বংশাল রোড, লক্ষ্মীবাজার, তাঁতীবাজার, নবাবপুর রোডে বয়ে যাচ্ছে ঘোলাপানির স্রোত। তুলনামূলকভাবে একটু উঁচু ধোলাইখাল রোডটিও গতকাল সকাল থেকে অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে।

লোকজনের দুর্ভোগ প্রচণ্ড। এখানে অনেক রিকশা চলে ব্যাটারিতে। কোনো কোনো সড়কে রিকশার পাদানির ওপর পানি ওঠায় রিকশার মোটর বন্ধ হয়ে গেছে। ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়া রিকশাগুলো জলমগ্ন সড়ক দিয়ে টেনে নিতে দেখা যাচ্ছে চালকদের। এ ছাড়া নবাবপুর, বংশাল, ইসলামপুর এলাকায় অনেক সিএনজিচালিত অটোরিকশার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে থেমে গেছে। বিশেষ করে নিমতলী, চাঁনখারপুল এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় মেয়র হানিফ উড়াল সড়কের ওঠানামার মুখে লম্বা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পানি জমে থাকায় ফ্লাইওভারে ওঠার সময় যানবাহন এগোতে পারছে না। নামার সময়ও গতিধীর।

হাজারীবাগ: পুরান ঢাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই খারাপ। ড্রেন ও সুয়ারেজ লাইনগুলো থেকে ময়লা পরিষ্কার না করায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে যেতে পারে না। একই অবস্থা দেখা গেছে হাজারীবাগ মোড় থেকে ট্যানারি মোড়ের দিকের সড়কে। হাজারীবাগ নতুন রাস্তাটির কাঁচাবাজার মোড় থেকে উত্তর দিকে সিঙ্গারের তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত পুরোটাই হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। জুমার নামাজ আদায় করতে যেতে প্রচণ্ড অসুবিধায় পড়তে হয় মুসল্লীদের।

গ্রিনরোড: প্রায় পুরো গ্রিনরোডে পানি জমেছে। কমফোর্ট হাসপাতাল থেকে গ্রিন লাইফ হাসপাতাল পর্যন্ত সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এখানে হাসপাতালগুলোতে রোগী নিয়ে যাতায়াত করতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে লোকজনের। পানি জমেছে সেন্ট্রাল রোড ও কলাবাগান এলাকায়। বিশেষ করে কলাবাগানের আবেদ আলী ঢাল এলাকায় এত পানি জমেছে যে অনেক বাড়ির নিচতলা ও সড়কসংলগ্ন অনেক দোকানের ভিতরে পানি ঢুকেছে।

এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেট: কাঁটাবন মোড় থেকে বাটার মোড় হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত এলিফ্যান্ট রোডে পানি জমেছে। ওদিকে নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট হয়ে নীলক্ষেত অবধি সড়কে পানি জমেছে। পানি জমেছে আজিমপুর এলাকাতেও।

কল্যাণপুর: সকাল থেকে শুরু হওয়া মুষলধারার বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় কল্যাণপুর প্রধান সড়ক। বেলা পৌনে ১১টায় দেখা যায়, কল্যাণপুর নতুন বাজার মোড় থেকে কল্যাণপুর গার্লস স্কুল পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক পুরো পানির নীচে ডুবে আছে। রিকশার পাদানিতে পানি উঠে যাচ্ছে। রিকশাচালক তানভীর হাসান বলেন, ‘আর কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় রিকশা চালানোরও উপায় থাকবে না। পানির মধ্যে রিকশা সামনে আগাতে চায় না, অনেক দম লাগে। এ পানি পার হওয়ার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ২০ টাকা করে নিচ্ছেন তিনি।’

ধানমন্ডি: ধানমন্ডি এলাকার সোবহানবাগ থেকে রাপা প্লাজার সামনে ২৭ নম্বর সড়কের বেশ খানিকটা হয়ে আসাদগেট মোড় পর্যন্ত এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। আসাদ গেট থেকে রাপা প্লাজা পর্যন্ত সড়কে বহু বাস, ছোট ছোট প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকে পড়েছে। ফলে এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

মানিকমিয়া অ্যাভিনিউ: টিঅ্যান্ডটি স্কুলের সামনে থেকে পশ্চিম দিকের আড়ং মোড় পর্যন্ত পুরো সড়ক জলমগ্ন হয়েছিল। এ সড়কে অনেক যানবাহন আটকে গেছে।

মিরপুর: মিরপুরের বেশীর ভাগ এলাকার সড়কেই পানি জমেছে। রোকেয়া সরণি থেকে আগারগাঁও পার হয়ে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত সড়কে পানি নেই। এরপর থেকে কাজীপাড়া সেনপাড়া দশন্বর গোলচত্বর হয়ে সামনের দিকের পুরো সড়কটি জলমগ্ন হয়ে আছে। পানি ঢুকেছে সড়কের দুই পাশের মহল্লাগুলোর ভিতরের সড়কেও।

টোলারবাগ: মিরপুর বাংলা কলেজের সামনে থেকে ১ নম্বর মোড় পর্যন্ত সড়কে পানি জমেছে। বিশেষ করে সড়ক ও জনপদ অফিস থেকে বাংলা কলেজ পর্যন্ত সড়কে প্রায় হাঁটু পানি। এ সড়কের পশ্চিম দিকে টোলারবাগ এলাকার পশ্চিম প্রান্ত পুরোটাই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।

প্রেস ক্লাব চত্বর: পানি জমেছে পুরো সেগুনবাগিচা এলাকায়। মৎস্য ভবন থেকে কদমফুল ফোয়ারা হয়ে তোপখানা রোড জলমগ্ন। জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বর পানিতে ডুবে গেছে।

সড়কে বিকল হলো গাড়ি: শুক্রবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে যানবাহন চলাচল হয় বিঘ্নিত। ধানমন্ডি এলাকায় বেশ কয়েকটি প্রাইভেট কারসহ অন্যান্য গাড়িও বিকল হয়ে সড়কের মাঝে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। জয়নুল আবেদীন নামের এক জন গাড়িচালক বলেন, সকাল ১০টার দিকে শ্যামলী থেকে ধানমন্ডি এলাকায় আসি। ধানমন্ডি আসতেই ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। অনেক চেষ্টার পরও গাড়ি সচল করতে পারছি না। সেগুনবাগিচায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার বেশীর ভাগ সড়কে হাঁটু পানি। ওই এলাকায় চলাচলরত যানবাহনগুলো বিকল হয়ে সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ