কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিন; তাদের জন্য আদালতের দরজা খোলা, তারা নির্বাহী বিভাগের কথা কেন বলছে- এমন প্রশ্ন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের। নির্বাহী বিভাগের যে কোনো সিদ্ধান্ত তো আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আপিল বিভাগে একটি মামলার শুনানিকালে সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের নেতাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আন্দোলনকারীদের পরামর্শ দিন, নিজেদের দাবিগুলো তারা আইনজীবীদের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন। আমরা সেটি গুরুত্ব সহকারে শুনব।
ঘটনার সূত্রপাত ৫ জুন হাইকোর্টের এক রায়কে ঘিরে। রায়ে আদালত বাতিল হওয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখেন। এরপর শুরু হয় কোটাবিরোধী আন্দোলন।
বুধবার (১০ জুলাই) সবার নজর ছিল সর্বোচ্চ আদালতের দিকে। জনাকীর্ণ আদালতে সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হয় রিটের শুনানি। রাষ্ট্র ও দুই ছাত্রের পক্ষের আইনজীবী হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদন জানান। আর বহাল রাখার পক্ষে মত দেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের আইনজীবী। তবে এদিন সবারই সূর ছিল নরম। তিন পক্ষের শুনানি শেষে কোটা নিয়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এর ফলে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের সরকারের পরিপত্র অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা হবে। তবে সেটি মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত।শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী রবিবার ও সোমবার টানা দুদিন বিকেলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নিজ নিজ এলাকা থেকে এ কর্মসূচি পালন করেন। মাঝে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) গণসংযোগ কর্মসূচি পালনের পর বুধবার (১০ জুলাই) আবারও সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড কর্মসূচি দেন আন্দোলনকারীরা। একইদিন কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি হয়। শুনানির পর হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। চার সপ্তাহ পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবারও (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ