কোটা সংস্কার ও ২০১৮ সালের মেধাভিত্তিক নিয়োগের সরকারী পরিপত্র পুনর্বহালের দাবীতে আজ রোববার থেকে সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকড’ কর্মসূচি পালন করবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার শাহাবাগ থেকে বাংলা ব্লকেড ও শিক্ষা কার্যক্রম বিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সরকারী চাকরীতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা সংক্রান্ত আদালতের রায় প্রত্যাহার করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবীতে সম্প্রতি উত্তাল হয়ে ওঠে উচ্চ শিক্ষাঙ্গনগুলো। শনিবারও ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব ক্যাম্পাস ও সড়ক অবরোধ করে দাবী আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এদিন শাহাবাগ থেকে বাংলা ব্লকেড ও শিক্ষা কার্যক্রম বিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে সরকারী চাকরীতে কোটাবিরোধী ছাত্র-তরুণদের দাবী ন্যায্য ও যৌক্তিক বলে মনে করছে বিএনপি। তাই চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে দলটি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহারের দাবীর প্রতিও সমর্থন জানিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মেধাবীদের বঞ্চিত করতে কোটা পদ্ধতি বহাল রাখা হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। ছাত্র ও শিক্ষকদের যৌক্তিক আন্দোলনে বিএনপি ও জামায়াতের এমন অবস্থানের কারণে তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। জানা গেছে, শনিবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে সরকারী চাকরীতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আন্দোলনের সমন্বয়কারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম এ ঘোষণা দেন। এর পর বিকাল সাড়ে ৫টায় শাহবাগ মোড় থেকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, কাল (আজ রোববার) বেলা তিনটা থেকে বাংলা ব্লকড কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। শুধু শাহবাগ মোড় নয়, শাহবাগ ও ঢাকা শহরের সায়েন্স ল্যাব, চানখাঁরপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিলসহ প্রতিটি পয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর শিক্ষার্থী নেমে এসে কর্মসূচি সফল করবেন। ঢাকার বাইরের জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করবেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও আদালতকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে সরকার দায়িত্বহীন আচরণ করছে। নির্বাহী বিভাগ তার দায় এড়াতে পারে না। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কোটা থাকবে না, তাহলে কোটা কেন আবার ফিরে এলো? কেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করা হচ্ছে? দাবী আদায়ে প্রয়োজনে আমরা হরতালের মতো কর্মসূচি পালন করব। এটা শুধু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়। শিক্ষক-অভিভাবকদেরও আন্দোলনে নেমে আসতে হবে। শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে গেলেও দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরে যাব না।
খেলাপী ঋণ ও শিল্পকারখানা
আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন: সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং কোটাবিরোধীদের চলমান দুই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর এ সময় এসে প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক বৈশ্বিক ব্যবস্থায় টিকে থাকতে হলে মেধাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। তাই সাধারণ ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবীগুলোর সঙ্গে আমরা একমত। গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে কোটা প্রথা বাতিল করা হলেও সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি রায়ে কোটা প্রথা বহাল হওয়ায় নতুন করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। চার দফা দাবীতে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি নিয়ে শুনানী হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা রাজপথেই তাদের দাবী আদায়ের ঘোষণা দেন। সেদিন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ থেকে সরে যান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ঘোষণা অনুযায়ী, গতকাল শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো আরো খবর—
বার্ড ফ্লুর নতুন ধরনে প্রথম মৃত্যু
চবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজট: সরকারী চাকরীতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবীতে চট্টগ্রাম নগরীর ব্যস্তময় সড়ক ২ নম্বর গেট অবরোধ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কের চার পাশে তীব্র যানজট তৈরী হয়েছে। শনিবার বিকাল পৌনে ৬টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে চকবাজার-২ নম্বর গেট, ২ নম্বর-জিসি, বায়েজিদ-২ নম্বর এবং মুরাদপুর- ২ নম্বরে প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায়। তৈরী হয় দীর্ঘ যানজট।বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ: টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা প্রথা বাতিলের দাবীতে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়ক দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের আশেকপুর বাইপাস এলাকায় অবস্থান নিয়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা মহাসড়ক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। অবরোধের ফলে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় পাশে ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় সাধারণ যাত্রীরা। ছাত্র সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বাজেটের দিন বাড়ল সূচক-লেনদেন
সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ: হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারী চাকরীতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবীতে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল সোয়া ৫টা) শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত ছিল।কোটা নিয়ে টালবাহানা করতে দেয়া হবে না: সরকারী চাকরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার দুপুরে কলেজের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরে মিছিল নিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় ঘুরে নীলক্ষেত হয়ে ইডেন মহিলা কলেজের দিকে চলে যান শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বলেন, যে কোনো মূল্যে সরকারী চাকরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বাতিল করতে হবে। শিক্ষার্থীদের গায়ে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত কোটা নিয়ে টালবাহানা করতে দেওয়া হবে না।
ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ: কোটা সংস্কারের দাবীতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারী চাকরীতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রেখে দ্রুত কমিশন গঠনের দাবী জানান তারা। শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল থেকে মিছিল বের হয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক সংলগ্ন মর্ডান মোড় অবরোধ করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী পদযাত্রা ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। হাতে পোস্টার আর মুখে বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন। স্লোগানে স্লোগানে প্লাকার্ড-পোস্টারের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দাবী দাওয়া উপস্থাপন করেন।
কোটা আন্দোলনে সংহতি ঢাবি সাদা দলের: পোস্টারগুলোতে ‘সুযোগের সমতা, সংবিধানের মূল কথা’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, নাতি-পুতি বন্ধ করো, মেধা দিয়ে দেশ দিয়ে গড়ো’, এরকম স্লোগান দিয়ে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ: কোটা প্রথা বাতিলের দাবীতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার বেলা ১১টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান সংবলিত ব্যানার প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে ঢাকার রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ: বৃষ্টি উপেক্ষা করে শনিবার আন্দোলন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা প্রায় আধাঘণ্টা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ মিছিল করেন তারা। পরবর্তীতে সেখান থেকে মিছিলটি ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজার হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে এসে সমবেত হয়। সেখানে মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা। বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ: দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা এ অবরোধ চলে। এতে দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রশাসনের অনুরোধে ক্যাম্পাসে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা। এর আগে, বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে জড়ো হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবী সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ক্যাম্পাসেই সমাবেশ করেন তারা। পরে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তাঁতীবাজারে জবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ: পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা থেকে মিছিল বের করে রায়সাহেব বাজার পেরিয়ে তাঁতীবাজার মোড়ে তারা অবস্থান নেন। পঞ্চম দিনের এ কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশী শিক্ষার্থী অংশ নেন। এসময় স্লোগানে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মেধাবীরা আসছে রাজপথ কাঁপছে’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘মেধাবীরা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘বাতিল বাতিল বাতিল চাই, কোটা প্রথা বাতিল চাই’।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ