ঢাকা, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

‘স্থবির’ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশনার সময়: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৭

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমকে ‘বৈষ্যম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবীতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন দেশের ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে অচল হয়ে পড়েছে এসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির মোর্চা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পর আলাদাভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। তবে শিক্ষকদের এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে আন্দোলন ডাকার কারণে শিক্ষার্থীরা সেশনজটের আশঙ্কা করছেন।

এদিকে ফেডারেশনে কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ইতোমধ্যে ৯টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, গতকাল সকাল থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অনুষদ ও ইনস্টিটিউটগুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। এদিকে শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. হিমাদ্রি শেখর চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কলাভবন ও কার্জন হল কেন্দ্রের পরীক্ষাগুলো বর্জন করা হয়। তিনি জানান, অন্যান্য পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো স্ব স্ব অনুষদ, ইনস্টিটিউটের অধীন। যেহেতু সব শিক্ষক কর্মবিরতিতে, তাই এটি বলা যায় সেখানেও পরীক্ষা হবে না। এদিন সকালে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা হচ্ছে না।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে কর্তৃপক্ষের কর্মসূচিতে শিক্ষকদের অংশ না নেয়ার যে ঘোষণা জিনাত হুদা রোববার দিয়েছিলেন, তা কার্যকর হয়নি। শিক্ষক সমিতির নেতাসহ শিক্ষকদের অনেকেই টিএসসিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে অংশ নেন। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নিজামুল হক ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা অনুষ্ঠানে ছিলেন না। নিজামুল হক ভূইয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনেরও মহাসচিব। তিনি গতকাল দুপুরে বলেন, দাবীর বিষয়ে এখনো সরকারের কোনো পর্যায় থেকে তারা কোনো আশ্বাস পাননি। তাই তাদের কর্মসূচি চলবে। তিনি দাবী করেন, অসুস্থ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেননি।

এদিকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, বিভিন্ন কমিটির সভা বর্জন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বন্ধসহ ১০টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা। একই সঙ্গে কর্মসূচি চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল ভবনের নিচে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া জানান, আমরা সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তারা সবাই কর্মসূচি পালন করবে। এদিকে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম বলেন, আমরা এ আন্দোলন নিজেদের জন্য করছি না। বরং আগামী প্রজন্মের জন্য করছি। দেশে এত দুর্নীতির কথা আমরা শুনি। সেসব কী শিক্ষকরা করেছে? তাহলে কেন তাদের সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। এ প্রত্যয় স্কিম বৈষম্যমূলক।

এদিকে রোববার ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, গতকাল সোমবার সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদও কর্মবিরতি পালন করেছে। দুপুরে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই মল চত্বরে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। হলগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সেখানে দেখা যায়। রেজিস্ট্রার ভবন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কার্যক্রমের কেন্দ্র। সেখানে অচলাবস্থা তৈরী হওয়ায় গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতা বলেন, দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি পালন করে যাবেন।

অন্য দিকে কর্মসূচির অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ব বিদ্যালয়েও সশরীরে এবং সান্ধ্যকালীন ক্লাস বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া মিডটার্ম, ফাইনাল, মৌখিক ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো ধরনের পরীক্ষাই নেয়া হয়নি। কর্মবিরতির প্রথম দিনে সোমবার দুপুরে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাশরিক হাসান বলেন, ‘দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলমান থাকবে। এ কর্মসূচির সঙ্গে নতুন কোনো কর্মসূচি যুক্ত হবে কিনা, তা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নেবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নতুন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহার করে স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবীতে রোববার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেন। একই দাবীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালন করেন। বিকালে শিক্ষক সমিতি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাতটি কর্মসূচির ঘোষণা করেন।

তবে শিক্ষকদের এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে আন্দোলন ডাকার কারণে শিক্ষার্থীরা সেশনজটের আশঙ্কা করছেন। বাংলা বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রিদুয়ান ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের স্বার্থচিন্তার পাশাপাশি আমাদের কথাও ভাবা উচিত শিক্ষকদের। কোভিড মহামারীর কারণে ইতোমধ্যে আমরা প্রায় এক বছর পিছিয়ে গেছি। ২০২৩ সালে আমাদের অনার্স শেষ হওয়ার কথা ছিল, ২০২৪ এ এখন আমরা চতুর্থ বর্ষে। এখন শেষ বর্ষে এসে যদি আবার আটকা পড়ি, তাহলে তো চাকরীর বাজারে পিছিয়ে পড়ব। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে চাকরীর প্রস্তুতি নিচ্ছে, দেশের বাইরে যাবে অনেকে। আন্দোলন দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে সবাই তো পিছিয়ে পড়বে প্রতিযোগিতামূলক জায়গাগুলো থেকে।’

অধিকাংশ বিভাগে সেমিস্টার ফাইনাল জুলাইয়ে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষকদের এ আন্দোলনের কারণে পরীক্ষা যথাসময়ে হওয়া নিয়ে শঙ্কিত গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী চয়ন কৃষ্ণ দেব। এই শিক্ষার্থী বলেন, ১০ জুলাই থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা আমাদের। আমরা যাদের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করে প্রতিযোগিতামূলক চাকরীর বাজারে ঢোকার পরিকল্পনা করছি তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ স্বাভাবিকভাবেই দেরী হয়, এখন আরও দেরী হবে। সব থেকে বড় যে বিষয়ে শিক্ষকরা বেতনভাতা সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে এরপর তাদের নির্ধারিত কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন। আমরা শিক্ষার্থীরা তো কোনো অন্যায় করিনি, তবে আমাদের কেন শাস্তি দেয়া হচ্ছে। আন্দোলনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার দিকটাও যাতে নজরে আনতে শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাশরিক হাসান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে দেয়া যায়, তা নিয়ে ইতোমধ্যে তারা একটি মিটিং করেছেন। ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের দাবী আদায় হয়ে গেলে অতিরিক্ত ক্লাস, অনলাইন ক্লাস নিয়ে ক্ষতিটা পূরণ করব।’

গত মার্চ মাসে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আগের চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামের একটি প্যাকেজ চালু করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২৪ সালের ১ জুলাই পরবর্তী সময়ে যোগ দেয়া কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা। শিক্ষক সমিতির অভিযোগ, এ স্কিম ‘বৈষম্যমূলক’। এতে ১ জুলাই এবং এর পরে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কিন্তু বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল না হওয়ায় রোববার সারা দেশে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা আসে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে চান শিক্ষকরা: এখন পর্যন্ত সরকার নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে। এ অবস্থা থেকে সরে আসার কোনো উপায় নেই বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন। তিনি বলেছেন, প্রশাসনেও আগামী অর্থবছর থেকে অর্থাৎ ২০২৫-এর ১ জুলাই থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে। পর্যায়ক্রমে জাতীয় পেনশন স্কিমের আওতায় সব সরকারি কর্মকর্তা যাবেন বলেও অর্থ মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। কিন্তু শিক্ষকরা এ অবস্থা মেনে নিতে রাজি নন। আর এটি নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি তারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। আন্দোলনরত শিক্ষকদের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, তারা মনে করেন প্রধানমন্ত্রী যদি পুরো বিষয়টি জানেন, তাহলে নিশ্চয় তিনি এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

শিক্ষকদের একজন নেতা দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে, ভুল বুঝিয়ে শিক্ষকদের ওপর নতুন পেনশন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এ কারণে তারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগেরও চেষ্টা করা হচ্ছে।

শিক্ষকদের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে সরকারি কাজে ভীষণ ব্যস্ত রয়েছেন। জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন চলছে। এই বাজেট অধিবেশন ৩ জুলাই শেষ হতে পারে। আগামী ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাবেন। এর আগে যে কোনোভাবে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। তারা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের ব্যাপারে সমবেদনাশীল। শিক্ষকদের প্রতি তিনি আলাদা সম্মান প্রদর্শন করেন। এ কারণেই পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলা হলে তিনি এর একটি সমাধান করবেন। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ব্যবস্থাটি বৈষম্যমূলক এবং এ ব্যবস্থা কার্যকর হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবেন না। এমনিতেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধার সংকট দেখা দিচ্ছে। এর মধ্যে যদি এই পেনশন ব্যবস্থা চালু হয় তাহলে ক্রমান্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেধাশূন্য হয়ে যাবে। আর তাদের মতে, এই পেনশন ব্যবস্থায় শিক্ষকদের ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ নেই।

বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় শিক্ষকদের বেতন থেকে কোনো টাকা কাটা হয় না। কিন্তু ‘প্রত্যয়’ ব্যবস্থায় ১০ শতাংশ টাকা কাটার বিধান করা হয়েছে। বর্তমান ব্যবস্থায় অধ্যাপকরা গ্র্যাচুয়িটি বা আনুতোষিক বাবদ এককালীন ৮০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা পান। অন্যদিকে ‘প্রত্যয়’ পেনশন ব্যবস্থায় কোনো আনুতোষিক নেয়। বর্তমান ব্যবস্থায় বেতন থেকে টাকা না কেটে অধ্যাপকদের মাসিক পেনশন পান ৭৫ হাজার ৭৯০ টাকা। অন্যদিকে প্রত্যয়ে বেতন থেকে কেটে এবং প্রতিষ্ঠানের টাকায় পেনশন মাসে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬০ টাকা। এই পার্থক্যগুলো পর্যালোচনা করে তারা মনে করছেন ‘প্রত্যয়’ শিক্ষকদের জন্য শুধু নয়, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এক অন্ধকার অধ্যায়ের সূচনা করবে। এখন দেখার বিষয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সময় দেন কিনা?

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ