এবার ঢাকার নবাবগঞ্জে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে রোনা ওরফে রুনা নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। আর এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরেক বোন পপি।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রুনার ভাই জহুর আলী মামলা করেন। মামলার পর জহুরা বেগম নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নবাবগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর মৃতুঞ্জয় কুমার কির্তুনীয়া ওই নারীকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহ আলম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান শিকদার তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
নবাবগঞ্জ থানা আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই করিম এ তথ্য জানান।
মামলার সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বড় বলমন্তচর গ্রামের হজরত আলী (৫৫) ও তার স্ত্রী জহুরা বেগম (৪৫) করোনাভাইরাসের টিকা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে পৃথক দুই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রচন্ড ভিড়ে নারীদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা জহুরার ওপরে এসে পড়েন পেছনে থাকা দুই বোন রুনা ও পপি। এর কিছুক্ষণ পর জহুরা বুঝতে পারেন তার গলার ৯০ হাজার টাকার স্বর্ণের চেইন নেই। সঙ্গে সঙ্গে জহুরা বিষয়টি তার স্বামীকে জানিয়ে ওই দুই বোনকে দেখিয়ে দেয়। তার স্বামী তাদেরকে গাড়িতে করে বাড়ি নিয়ে স্বর্ণের চেইন ফেরত চেয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন।
পরে স্থানীয়রাও তাদের পিটুনি দিলে ২ জনই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই দুই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক রুনাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত পপিকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ