গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেছেন, বিভক্তি ভুলে আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামি। রাজপথে কঠোর আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। গণআন্দোলন আর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা।
স্মরণসভার আয়োজন করে আ স ম হান্নান শাহ্ স্মৃতি সংসদ। সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপি নেতা রিয়াজুল হান্নান প্রমুখ।
সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে শুধু আমাদের জন্য নয়, বিএনপির জন্য নয়; যদি দেশকে বাঁচাতে হয়, জনগণকে তার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হয়, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হয়, বাঁচার অধিকার, কাজের অধিকারকে ফিরিয়ে দিতে হয়, তাহলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জোট বাঁধতে হবে।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিভক্তি নয় নিজেদের মধ্যকার ঐক্য আরো সুদৃঢ় করতে হবে। জনগণকে নিয়ে আজকে আমাদের অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, এমন একটা জায়গা নেই যেখানে দুর্নীতি নেই। মেগা প্রকল্পে মেগা লুটপাট চলছে। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে শুধু রাজনৈতিক কারণে আটকে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একইভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে।
গয়েশ^র চন্দ্র বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। তাদের অধীনে কোনো নির্বাচনই হয় না। বরং নির্বাচন হলে তা প্রতিহত করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, হান্নান শাহ প্রমাণ করেছেন সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকলে অন্যায়কারীরা পরাজিত হোন। ফখরুদ্দিন মঈন উদ্দীন পরাজিত হয়েছেন। আজ হান্নান শাহ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তিনি বিজয়ী হয়েছেন গণতন্ত্রের পক্ষে। সেই সময় যদি আন্দোলন অব্যাহত না থাকত তাহলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আজও কারাগারে থাকতে হতো। সেই সময় হান্নান শাহসহ কিছু লোক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে তারা মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু সেই আন্দোলনের ধারা অব্যাহত নেই।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ