ঢাকা, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

আতঙ্কে দুর্নীতিবাজরা

প্রকাশনার সময়: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:২০

চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের দুর্নীতিবাজরা। কারণ সম্প্রতি পুলিশের সাবেক-বর্তমান ও এনবিআরের কর্মকর্তার সম্পদের তথ্য ফাঁস হওয়ায় মাঠে নেমেছে দুদক। অনুসন্ধান করা হচ্ছে তাদের সম্পদের বিবরণী। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানের তালিকায় রয়েছেন আরও অন্তত এক ডজন সাবেক ও বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তা। অভিযোগ রয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে এমন তৎপরতার পর গোপনে অনেকেই সম্পদ বিক্রীর চেষ্টা করছেন বলে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে। যদিও দুদকের এমন তৎপরতাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন বিভিন্ন দপ্তরের সৎ ও পরিশ্রমী কর্মকর্তারা। সার্বিক এমন পরিস্থিতিতে পুলিশে জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা শতভাগ নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা বলেন, পুলিশের মধ্যে দুর্নীতিবাজদের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু তার প্রভাব পড়ছে দুই লাখ ২০ হাজার সদস্যের পুলিশ বাহিনীর ওপর। এ কারণে দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় না দিয়ে তাদের বিষয়ে তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। না হলে আগামীতে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। এ বিষয়ে সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ বলেন, পুলিশে আগেও তদবীর ছিল, কিন্তু সেটা ছিল খুব কম। সিনিয়র, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও সততার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেয়া হতো। এখন যাদের পদোন্নতি হয়, তাদের বেশীর ভাগ কাজ করে না, দলবাজ করে। দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্যদের যেন জয় জয়কার। তারা পদোন্নতি পাচ্ছে। এ জিনিসটা খুবই ভয়ঙ্কর। অবশ্যই এটা বন্ধ করতে হবে। সিনিয়র, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও সততার ভিত্তিতে পদোন্নতি দিতে হবে। যারা ভালো কাজ করে তাদের পুরস্কার এবং যারা দুর্নীতিতে জড়িত তাদের তিরস্কার করতে হবে। তবেই দুর্নীতিবাজদের লাগাম টানা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, সরকার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ও প্রভাবশালী সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছিল দুর্নীতিবাজরা। এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল সম্পদের খবর প্রকাশিত হয়েছে একাধিক গণমাধ্যমে। সবশেষ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের হাজার কোটি টাকার সম্পদের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে দুর্নীতিবাজ সরকারী কর্মকর্তারা। এছাড়া প্রকাশ পেয়েছে এসবির এডিশনাল ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলের সম্পদের পাহাড়। বিদেশ যেতে নিশেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে র‍্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমারের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (ভ্যাট) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীরও বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নিয়ে চলছে আলোচনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলধারার অনেক গণমাধ্যমকে ‘ম্যানেজ’ করতে পারলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্নীতি করে গড়ে তোলা সম্পদের তালিকা ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকেই দেশে গড়ে তোলা সম্পত্তি বিক্রী করে টাকা বিদেশে পাচারের সিদ্ধান্তও নিচ্ছেন। জানা গেছে, গত ১৩ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (ভ্যাট) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞাদেয় আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের এক আবেদনের পর আদালত এ আদেশ জারি করেন। এর আগে গত ১১ জুন এনবিআরের সাবেক এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপারকে (ইমিগ্রেশন) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। চারটি মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানকে ১৫২ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করায় বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (ভ্যাট) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। এ ঘটনার আগে ৩১ মে র‍্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমারের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। উত্তম কুমার সিআইডিতে থাকা অবস্থায় ফরিদপুরের দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচারের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। সে সময় তিনি আসামীদের কাছ থেবে বিপুল পরিমান আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে আসে। একই সঙ্গে তার পাহাড় পরিমাণ সম্পদের তথ্য পায় দুদক। এ কারণে তাকে বিদেশ গমনে নিশেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়।

সূত্রমতে পুলিশের সিটি এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উপপরিচালক মোহা নূরুল হুদাকে দলনেতা করে তিন সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। শিমুলের বিষয়ে তথ্য চেয়ে ১৩ জুন বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।

তার বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ ব্যবহার করে চাকরী নিয়ে অবৈধভাবে নিজ ও আত্মীয়-স্বজনের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে তার চাকরীতে যোগদানের তারিখ ও পদের নাম, বিপি নম্বর উল্লেখ করে চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত অর্থবছর ভিত্তিক প্রাপ্ত বেতন-ভাতার পরিমাণ ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি পাঠাতে বলা হয়েছে।

তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে কততম বিসিএসের মাধ্যমে যোগদান করেন এবং কোনো বিশেষ কোটায় চাকরী পেয়েছেন কিনা সে-সংক্রান্ত তথ্যও চাওয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ১০ কর্মদিবসের মধ্যে রেকর্ডপত্র/তথ্য পাঠাতে অনুরোধ করা হয়। শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত গণশুনানীতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি জমা পড়ে। পরে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মানব পাচারসহ আরো অভিযোগও পড়েছে দুদকে। সূত্রমতে, ২৩ জুন অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করে তা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত চলমান থাকায় দি প্রিমিয়ার ব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন— দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নারায়ণগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক শহীদ হাসান মল্লিক, ভাইস প্রেসিডেন্ট মুশফিকুল আলম, ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনচার্জ দীপক কুমার দেবনাথ ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান সরকার। তারা প্রত্যেকে ব্যাংকটির নারায়ণগঞ্জ শাখায় কর্মরত আছেন। রোববার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ কর্মকর্তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারী করে আদেশ দেন। এদিন তাদের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। আবেদন সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত কর্মকর্তারা ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধার আড়ালে জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪৩টি সন্দেহভাজন তৈরী পোশাক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ মঞ্জুর করে আত্মসাৎপূর্বক তা পাচার করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অর্থপাচার ও দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। এজন্য তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা একান্ত সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, মানুষের মধ্যে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, এটা অবশ্যই আশার কথা। যদিও আপাতত এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, কিন্তু যদি স্থায়ী রূপ লাভ করে এবং পক্ষপাতহীন হয় তাহলে এটা কাজ করবে। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে সোচ্চার হলেই দুর্নীতি কমিয়ে আনা যাবে।

সাবেক এ আমলা বলেন, প্রশাসন বা পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগগুলোর কেবল অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। অনুসন্ধানে তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে মামলা হবে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হবে। বিচারে রাষ্ট্রপক্ষকে দুর্নীতির বিষয়গুলো প্রমাণ করতে হবে। তারপর রায়ে যদি শাস্তি হয়, যদি যথাযথ বিচার হয়, তবেই ভালো প্রভাব পড়বে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রশাসন ও পুলিশের মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সরাসরি বা নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গ্রুপগুলোতেও চলছে এই আলোচনা। সবারই একই প্রশ্ন এর পরে কে? কার বিপুল সম্পত্তির খবর প্রকাশিত হবে গণমাধ্যম বা সামাজিক মাধ্যমে? অনেক কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত সাংবাদিকদের কাছে খোঁজখবর নেয়ারও চেষ্টা করছেন।

প্রশাসন ও পুলিশের সাবেক-বর্তমান শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খবর প্রকাশ হওয়ায় সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেক সৎ কর্মকর্তা। তারা মনে করছেন, টানা দেড় দশকেরও বেশী সময় ধরে অনেক কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ ও লোভনীয় পদে দায়িত্ব পালন করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তাদের ধারণা ছিল, বর্তমানের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল সরকারে থাকা অবস্থায় কখনোই তাদের বিপাকে পড়তে হবে না। কিন্তু বেনজীর, আছাদুজ্জামান মিয়া বা এনবিআর কর্মকর্তা ড. মতিউর রহমানের বিপুল সম্পদের খবর প্রকাশের পর অন্যান্য দুর্নীতিবাজরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, সৎভাবে চাকরী করার কারণে দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছরেও ভালো কোনো জায়গায় পোস্টিং পাননি। কারণ ভালো জায়গায় পোস্টিং পেতে হলে ঊর্ধ্বতনদের বিপুল পরিমাণ ঘুষ দিতে হয়। এত টাকা তার নাই এবং টাকা দিয়ে পোস্টিং পাওয়ার ইচ্ছেও তার ছিল না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক দশকের তুলনায় বর্তমানে দেশের চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের নিয়ে সাধারণ মানুষ কথা বলছে। গণমাধ্যম বা সামাজিক মাধ্যমে বিষয়গুলো ভাইরাল হচ্ছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও দুর্নীতিবাজদের পক্ষ না নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বেশীর ভাগই নিজের নামে সম্পদ না কিনে স্ত্রী বা ছেলেমেয়েদের নামে কেনেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অসংখ্য দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরাও দুদকের মামলার আসামী হয়েছেন। এ কারণে বর্তমানে অনেক দুর্নীতিবাজ স্ত্রী বা ছেলেমেয়েদের নামে স্থাবর সম্পত্তি না কিনে বিদেশে পাচার করছেন। ছেলেমেয়েদের কাউকে বিদেশে পড়াশোনা করতে পাঠানোর নামে সেখানেই দুর্নীতির অর্থ পাঠাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি জনপ্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক সরব হওয়ার কারণে অনেকেই স্থাবর সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করছেন। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দুর্নীতির মাধ্যমে যারা ভূ-সম্পত্তি বা ফ্ল্যাট কিনেছেন তারা সেসব ভূ-সম্পত্তি বা ফ্ল্যাট বিক্রির চেষ্টা করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় তার বসের একটি ফ্ল্যাট ছিল। অনেক অর্থ ব্যয় করে তিনি ফ্ল্যাটটি সাজিয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের কারণে তিনি তড়িঘড়ি করে শখের ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দিয়েছেন।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ