ঢাকা, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ জিলহজ ১৪৪৫

‘ভারত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে’

প্রকাশনার সময়: ২৬ জুন ২০২৪, ১৮:৫৬

ভারত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

বুধবার (২৬ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর তোপখানায় দলটির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি সোহেল শিকদারের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন দলের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন। সেখানে আরও বক্তব্য দেন দলের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম এবং রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘সরকার এদেশের জনগণের টাকা খরচ করে ভারতকে ট্রানজিট, বন্দর ও বাণিজ্য সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের নিরাপত্তাই ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। ট্রানজিট যদি দিতেই হয়, তাহলে সেটা হতে হবে ট্রান্স-এশিয়ান কানেকশনে যুক্ত সকল দেশের সঙ্গেই একে অপরকে দেওয়ার মাধ্যমে। শুধু নির্দিষ্ট একটা দেশকে ট্রানজিট দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অন্যান্য দেশের বিপক্ষে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

ফরিদুল হক বলেন, ‘ইন্ডিয়া অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায়৷ কারণ দক্ষিণ এশিয়াকে একটা পিপলস ফেডারেশন ইউনিয়নে পরিণত করার ক্ষেত্রে স্বাধীন ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু ইন্ডিয়া তা হতে দিতে চায় না। এ জন্যই সার্ককে তারা অকার্যকর করে রেখেছে। এ জন্যই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামরতদের অর্থাৎ আমাদেরকে ভারতীয় পত্র-পত্রিকায় ‘ইসলামিক মৌলবাদী’ হিসেবে হাজির করা হয়। অন্যদিকে ভোটারবিহীন দিল্লির বরকন্দাজ অবৈধ হাসিনা সরকারকে ‘গণতান্ত্রিক’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।’

লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে ইমরান ইমন বলেন- ‘প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে যেভাবে ইউরোপের মধ্যে ‘ফ্রি যাতায়াতের’ উদাহরণ দিয়েছে, সেটা তো কোনোভাবেই ভারত-বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। সেখানে যাতায়াত হয় সম-মর্যাদার দুইটা দেশের মধ্যে এবং সেখানে এক দেশ আরেক দেশকে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরেও রাখে না, আর এক দেশের বাহিনী সেই কাঁটাতার পেরিয়ে এসে আরেক দেশের নাগরিকদের গুলি করেও মারে না! ভারত রাষ্ট্র একদিকে আমাদেরকে কাঁটাতারে ঘিরে রেখেছে, আমাদের সীমানার ভেতরে ঢুকে আমাদেরকে গুলি করে মারছে, অন্যদিকে উনি তাদেরকে করিডোর দিয়ে এসে জনগণকে ইউরোপের উদাহরণ দিচ্ছেন! বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক বিকাশের জন্য, তথা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য দিল্লির গোলাম হাসিনা সরকারের অপসারণের কোনো বিকল্প নাই।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু, ঢাকা জেলা সমন্বয়ক শাহাবুদ্দিন কবিরাজ লিটন, রাষ্ট্র সংস্কার যুব আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মাশকুর রাতুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দপ্তর সমন্বয়ক এহসান আহমেদ, দ্বীন ইসলাম, ইয়াকুব হোসেন।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ