বিশ্বে এক সঙ্গে তাল মিলিয়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাদক বিষয়ে হই সচেতন, বাঁচাই প্রজন্ম, বাঁচাই জীবন।’
আজ বুধবার (২৬ জুন) আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস। এ দিবসটিকে আরও বলা হয় ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’। জাতিসংঘের মাদকবিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (এনওডিসি) এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে-‘The evidence is clear: invest in prevention’, অর্থাৎ ‘প্রমাণ স্পষ্ট: প্রতিরোধে বিনিয়োগ করুন’।
দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, যুবসমাজকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়মিত লেখাপড়া, খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন অসংগতি, কুসংস্কার ও মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই।’
রাষ্ট্রপতি মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও জাতিসংঘ ঘোষিত মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৪ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার মাদক অপরাধী, চোরাকারবারি, পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি প্রয়োগ করছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পথশিশুসহ যারা মাদকাসক্ত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে তাদের সরকারি ও বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষাক্রমে মাদক-সংক্রান্ত বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়াবলি অন্তর্ভুক্ত করে ছাত্রছাত্রীদের মাদকের অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার প্রতিরোধ ও মাদকাসক্তিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষাক্রমে মাদক-সংক্রান্ত বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়াবলি অন্তর্ভুক্ত করে ছাত্রছাত্রীদের মাদকের অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, সীমান্তবর্তী দুই দেশ থেকে ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজার মতো মাদক দেশে প্রবেশ করছে। এসব মাদক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে। এরই মধ্যে চলতি বছরে নতুন দুই ধরনের মাদকের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এগুলো হলো লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড (এলএসডি) ও গাঁজার কেক।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ