দেশে দুর্নীতি হলে সেটি অবশ্যই সংবাদে আসবে। সেটি দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে ৷ কিন্তু সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পত্রিকায় দেখেছি নতুন মহাসচিব খুঁজছে বিএনপি। আরও দেখেছি মির্জা ফখরুল কান্না করছেন। এখন এই কান্না খালেদা জিয়ার জন্য না। তার এই কান্না পদ হারানোর ভয়ে কি না তা খুঁজে দেখার বিষয়।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, তাদের দলেই গণতন্ত্র নেই। নির্বাচনের পর সরকার হটানোর পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়েছে তাদের। বিএনপির বেলুন ফিউজ হয়ে গেছে। যে কারণে এক রাতেই কলমের খোঁচায় নেতাকর্মীর পদ-পদবি আলাদা হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের প্রতি তিন বছর পরপর সম্মেলন হয়। কলমের খোঁচায় কাউকে বাদ অথবা পদ দেওয়া হয় না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে ভাগ করেছিলেন। ভেবেছিলেন এ দলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যাবে, কিন্তু পারেননি তিনি। কারণ, জনগণ সঙ্গে ছিল আর হাল ধরেছেন শেখ হাসিনা। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বঙ্গবন্ধুহীন দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাবাহীন সংকটাপূর্ণ সংসারকে মায়ের মমতায় কর্মীদেরকে আগলে রেখেছেন তিনি। ২১ বছর ধরে আমাদের শুনতে হয়েছে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় যাবে না। তিনি পরপর চার বার দলকে ক্ষমতায় নিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খেয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা পুনরুদ্ধার হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতার দল নয়, কর্মীদের দল। অন্য দলের সঙ্গে পার্থক্য হচ্ছে অভ্যন্তরীণ চর্চা আছে। বিএনপিসহ অন্য দলের যে যোগ্যতা নেই। এটাই আওয়ামী লীগের সৌন্দর্য। শেখ হাসিনা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আগলে রাখেন। যে কারণে সকল সংকটে তারা দলের পাশে থাকেন। যারা আওয়ামী লীগ থেকে সরেছে-তারা আজ রাজনীতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছেন। ৭৫ বছরের পথ চলায় দলটি নিশ্চিহ্ন করতে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। অনেকে দল ছেড়েছেন ও বেঈমানিও করেছেন; তারা রাজনীতি থেকে হারিয়েও গেছেন। এটাই রাজনীতির শিক্ষা।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ