চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনে। ১৫ জুন চার দফায় অন্তত ৭৫ নেতাকর্মীর পদ পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে কারো কারো মূল্যায়ন, কারো অবমূল্যায়ন এবং কারো অতি মূল্যায়ন করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
বলা হচ্ছে, দলের ভিতরের সুবিধাভোগী একটি বলায়ের জয় হয়েছে। তারা তাদের ক্ষমতা বলে অপছন্দের লোকদের অবমূল্যায়নের মাধ্যমে অসম্মান এবং অপমান করছেন। ভাইয়া গ্রুপ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই বলায়ের বেশির ভাগ নেতাকে বিগত কোনো আন্দোলনেই সেভাবে মাঠে দেখা যায়নি। তবে শীর্ষ নেতাদের বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। বিএনপির শীর্ষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ২০ নেতার সঙ্গে কথা বলে বিএনপির এই চিত্র পাওয়া গেছে।
সূত্র মতে, গত ১৫ জুন চার দফা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে রদবদলের মাধ্যমে ৭৫ নেতার পদ পরিবর্তন হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৪৫ জন, মিডিয়া সেলে একজন, চেয়ারপারসনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটিতে ১১ জন এবং চেয়ারপারসনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ১৮ জন। এর মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও রয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে অবস্থান করছেন। এমন পরিস্থিতিতে দলের ভিতরে নেতৃত্বের আধিপত্য বজায় রাখা নিয়ে কয়েকটি বলয় তৈরি হয়েছে। তারা বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ভিতরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। এ জন্য নিজেদের আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত লোকদের দিয়ে কমিটিগুলো ঢেলে সাজাতে চাইছে। এভাবে চলতে থাকলে সব কমিটি এককেন্দ্রিক হয়ে যাবে। এতে করে সামনে যোগ্য ব্যক্তিদের অমূল্যায়ন করা হবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যদিও দলের মধ্যে অনেক নেতা বলছেন, চলমান পুনর্গঠনের ফলে দল শক্তিশালী ও গতিশীল হবে। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে যারা রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন দল তাদের সম্মানজনক পদে পদায়ন করেছে। এটা হচ্ছে তাদের আন্দোলনের ফসল। সে সঙ্গে আগামী দিনে সরকার পতনের আন্দোলনে তার ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশে বড় দুটি রাজনৈতিক দল পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। তারা চাইলেই যে কোনো ব্যক্তিকে দল থেকে চলে যেতে বলতে পারেন। আবার ইচ্ছে করলে তাদের অপমানও করতে পারেন।
কিন্তু আমরা তো বেতনভুক্ত কর্মচারী নই যে ইচ্ছে করলেই আমাদের অপমান করবে। ১/১১-এর সময় যারা দলের সঙ্গে বেঈমানী করেছে, দলকে বিপদে ফেলার জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় প্যাড নিয়ে চলে গেছেন তাদের এখন সম্মানজনক পদে পদায়ন করা হচ্ছে। আর দুঃসময়ে যারা কাছে ছিলেন তাদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৮২ সালে উচ্চ পর্যায়ে সরকারি চাকরি হলেও বেগম খালেদা জিয়ার অনুরোধে চাকরিতে যোগদান না করে দলের জন্য কাজ করেছি। খালেদা জিয়া বলেছিলেন আপনারা হয়তো এক দিন সচিব হবেন বড় পদে যাবেন কিন্তু আমি (খালেদা জিয়া) দল কাদের নিয়ে চালাবো। তখন রাজনীতিতে একটি সম্মান ছিল। কিন্তু এখন আর সেই সম্মান নেই।
অভিযোগ রয়েছে, এমন কিছু লোককে অতিমূল্যায়ন করা হয়েছে যারা ওই পদের জন্য যোগ্য নন। আবার এমন কিছু লোক আছে যারা সারা দিন পার্টি অফিসে বসে থাকে তাদেরও পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির আরেক নেতা বলেন, দলের চলমান পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালের অনুসারীদের পদোন্নতি হয়েছে। এর বাইরে কারো পদোন্নতির সুযোগ হচ্ছে না। অথচ এই বলায়ে থাকা নেতাদের আন্দোলনে তেমন ভূমিকা দেখা যায়নি। তারপরও পদ বাগিয়ে নিতে তারা সফল। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বৈদেশিক উপদেষ্টা কমিটিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে আব্দুল মঈন খানের দীর্ঘদিনের যে নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল সেখানে মঈন খানের জয় হয়েছে। মঈন খানের জয় হওয়ায় অনেকেই খুশী। কারণ যোগ্য এই নেতাকে কোণঠাসা করে রেখেছিলেন এক সময় আব্দুল্লাহ আল নোমানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। যদিও এই আমির খসরুর কারণে আব্দুল্লাহ আল নোমানকে এখনো মূল্যায়ন করা হয়নি সংস্কারপন্থীর তকমা দিয়ে। কিন্তু আব্দুল্লাহ আল নোমান জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন। তার সমসাময়িক রাজনীতিবিদও বিএনপিতে এখন নেই বললেই চলে। তারপরও তাকে দীর্ঘদিন ধরে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আমার প্রতি আস্থা রেখে সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে যুগ্ম মহাসচিব করায় দলের প্রতি কৃতজ্ঞ। শূন্য পদে আমাকে পদায়ন করা হয়েছে। যোগ্যতা সবার রয়েছে কিন্তু সবাইকে পদায়ন করা সম্ভব হয় না। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে নিজেকে যোগ্য দেখানোর চেষ্টা করব। আমি মনে করি এটা শুধু আমার একার কোনো প্রাপ্তি নয়, পুরো ময়মনসিংহ বিভাগের ফসল। এর মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সরকার পতনের আন্দোলন আরো ত্বরান্বিত করবে।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুন পদায়িত নেতাদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান একজন, উপদেষ্টা পরিষদের ১১ জন, যুগ্ম মহাসচিব ৩ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ৪ জন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ৬ জন, সম্পাদক ৩ জন, সহ-সম্পাদকীয় পদে ৩ জন, সহ-সম্পাদকীয় পর্যায়ে থেকে পদাবনতিতে সদস্য পদে ৫ জন, নতুন সদস্য ৫ জন এবং প্রবাস থেকে সদস্য ৪ জন সর্বমোট ৪৫ জন। এদের মধ্যে বিভিন্ন পদে নতুন মুখ অন্তত ১০ জন রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পদায়ন যথার্থ বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন পদবঞ্চিত থেকে পদায়িত হলেন তিনি। তাকে নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের কোনো অভিযোগ নেই।
১১ উপদেষ্টা: সাবেক সামরিক কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দীন, যুগ্ম মহাসচিব থেকে মুজিবুর রহমান সরোয়ার, হারুন অর রশিদ, আসলাম চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে সাখাওয়াত হাসান জীবনের উপদেষ্টার পদে পদায়ন যথার্থ হলেও, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে নিয়ে স্থায়ী কমিটিতে মহাসচিব পদে নেতাদের আলোচনা থাকলেও তাকে উপদেষ্টা পরিষদে দিয়ে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে উপদেষ্টা পরিষদে পদায়ন করে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। মূলত কিছু দিন আগে আইন সম্পাদক কায়সার কামালের কুটচালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার হন এ এইচ মাহবুব উদ্দিন খোকন। চলমান রদবদলে কায়সার কামালের দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব রয়েছে সে কারণে তাকেও অবমূল্যায়ন করে উপদেষ্টা পরিষদে রাখা হয়েছে। মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক থেকে জহির উদ্দিন স্বপনকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে বেবী নাজনীনকে ও সহ-তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে খালেদ হোসেন চৌধুরী পাহিনকে উপদেষ্টা পরিষদে পদায়ন করে অতিমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে দাবী নেতাকর্মীদের।
তিন যুগ্ম মহাসচিব: বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের যুগ্ম মহাসচিব পদে পদায়ন যথার্থ হলেও সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে আব্দুস সালাম আজাদের যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে পদায়ন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ তাকে কখনোই কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে তেমন চোখে পড়েনি।
চার সাংগঠনিক সম্পাদক: ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে মো. শরিফুল আলমকে এবং সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পদায়ন যথার্থ হলেও ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুলকে এবং রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহিন শওকত খালেককে বিভাগীয় সাংগঠনিক হিসেবে পদায়ন করায় প্রশ্ন উঠেছে। তিন মাস হয়নি বাবুল প্রমোশন পেয়েছেন, এই সময়ে তিনি কী এমন করলেন যে তাকে আবারও প্রমোশন দেয়া হলো? এই প্রশ্ন নেতাকর্মীদের মুখে মুখে।
ছয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক: সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পদায়ন যথার্থ হলেও সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা বিভাগ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, মীর হেলাল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, আবু ওয়াহাব আকন্দ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ময়মনসিংহ বিভাগ, মিফতাহ সিদ্দিকী সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেট বিভাগের এই পদায়নকে অতিমূল্যায়ন হিসেবে দেখছেন নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে মীর হেলালের পদোন্নতি চোখে পড়ার মতো।
তিন সম্পাদক: জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে দলের প্রচার সম্পাদক করা অবস্থাদৃষ্টে পদায়ন মনে হলেও এটাকে এক ধরনের সাংগঠনিক শাস্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। আন্দোলন চলাকালে তিনি পুলিশের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে নেতাকর্মীদের ফেলে দৌড় দিয়েছিলেন যা সুলতানি দৌড় হিসেবে আখ্যা পায়। সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মোর্শেদ হাসান খানকে গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পদে পদায়ন করা হয়েছে। এই মোর্শেদ হাসান খান ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। এ জন্য পরবর্তী সময়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনাও করেন। সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমকে গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক করাটাও অতিমূল্যায়ন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তিন সহ-সম্পাদক: মো. নজরুল ইসলাম সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, এস এম সাইফ আলী সহ-তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং জর্জিয়া বিএনপি সভাপতি নাহিদ খানকে সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে অতিমূল্যায়ন করা হয়েছে।
১৪ নির্বাহী সদস্য: দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, জাহান পান্না (রাজশাহী), নাজমুন নাহার বেবী (চাঁদপুর), বেলায়েত হোসেন মৃধা (নরসিংদী) এদের যুক্ত করা যথার্থ হলেও আজম খান (দক্ষিণ আফ্রিকা), মহিউদ্দিন আহমেদ ঝিন্টু (সুইডেন), গাজী মনির (ডেনমার্ক) এদের অস্বাভাবিক মূল্যায়ন করা হয়েছে। আবার মো. মাইনুল ইসলাম (টাঙ্গাইল)-কে সদস্য করা অবমূল্যায়ন হয়েছে। সম্পাদক না হলেও ন্যূনতম একটি সহ-সম্পাদক পদ তার প্রাপ্য বলে অনেকেই মনে করেন। এছাড়া জালাল উদ্দিন মজুমদার (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিভাগ), সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, রংপুর বিভাগ), সায়েদুল হক সাঈদ (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, কুমিল্লা বিভাগ), চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল ফারুক (সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক) এবং এস এম গালিবকে (সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক) বর্তমান পদ থেকে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে নিয়ে আসা চরম অবমূল্যায়ন বলে মনে করছেন নেতাকর্মীদের একাংশ। এছাড়া বিএনপির মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলকে আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। তার সঙ্গে মিডিয়ার তেমন কোনো যোগাযোগ নেই বললেই চলে।
এ কারণে তাকে অতিমূল্যায়ন করার অভিযোগ রয়েছে। এই মিডিয়া সেলের সাবেক আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়েছে। তাকে কল করা হলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তিনি বললেন এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। একইভাবে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে উপদেষ্টা পরিষদে পদায়ন করা হয়। তিনি বলেন, দল যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই করেছে। এ নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। আগে একটি বিভাগে কাজ করতাম এখন সারা দেশে কাজ করব।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ