ঢাকা, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

‘৬ ঘণ্টায় পরিষ্কার হবে কোরবানির পশুর বর্জ্য’

প্রকাশনার সময়: ১৫ জুন ২০২৪, ১৭:৪৩ | আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪, ১৭:৪৪

এবছর ৬ ঘণ্টায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসি সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, দশ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত থাকবে। ডিএনসিসির সব কাউন্সিলর, কর্মকর্তা এবং আমি নিজে মাঠে থাকবো।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলা কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র আতিক বলেন, ‘বর্জ্য পরিচ্ছন্নতার কাজ কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করার জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। হটলাইন নম্বর রয়েছে। সেখানে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য সরানোর কাজ শুরু হবে। রাত ৮টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য এবার আর ইজারাদারদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে না। ডিএনসিসি থেকে আমরা দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করবো।’

বৃক্ষরোপণে পশুর হাটের গোবর ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসি থেকে ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করেছি। কোরবানির পশুর হাটের গোবরগুলো সংগ্রহ করে বৃক্ষরোপণে ব্যবহার করা হবে।’

শুরুতেই মেয়র আতিকুল ইসলাম পশুর হাট পরিদর্শন করেন এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি ডিজিটাল লেনদেনের জন্য নির্মিত বুথ পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসির স্মার্ট পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতারা নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা পাচ্ছে। এবছর ৬টি হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ক্রেতারা ক্যাশ লেনদেন না করে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছে। বিক্রেতা বা খামারিরাও গরু বিক্রির টাকা বহন না করে হাটেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে তাৎক্ষণিক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগও রয়েছে।’

এসময় তিনি বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি।’

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে একসঙ্গে অন্তত ৫০০ গরু কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে। যারা এখানে গরু কোরবানি দিতে আসবেন প্রত্যেক গরুর জন্য প্রণোদনা হিসেবে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ১ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে। এছাড়াও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি স্থানে অন্তত ১০০ পশু কোরবানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

কোরবানির হাট পরিদর্শনকালে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির কাউন্সিলররা এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ