আজ পয়লা আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো প্রিয় ঋতু বর্ষার। আষাঢ় বাংলা সনের তৃতীয় মাস। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে জুন-জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে আষাঢ় আসে। আষাঢ় নামটি এসেছে পূর্বাষাঢ়া ও উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্রে সূর্যের অবস্থান থেকে।
বর্ষার বন্দনায় কবি নির্মলেন্দু গুণের ভাষায়- ‘গ্রীষ্ম চলিল, বর্ষা আসিল, আষাঢ়ে নামিল ঢল; বুনো পাখি সব ডাকে অবিরল: ‘বাওয়া ক্ষেত করতল।’এই তো কখন নেমেছে বৃষ্টি, অবিরাম তবু ঝরছে; না পেয়ে উপায় রাখালের দল ভিজে ভিজে বাড়ি ফিরছে।’
জ্যৈষ্ঠের খরতাপের পর ঋতুতে এসেছে আষাঢ় মাস। আষাঢ় এনে দিয়েছে বর্ষাকালের প্রথম পর্ব। বর্ষার আশীর্বাদে প্রাণ ফিরবে প্রকৃতিতে। ধূসর প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। গ্রীষ্মের শেষভাগে তীব্র দাবদাহে পুড়ছিল দেশ; অতিরিক্ত গরমে মানুষের প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। আষাঢ়ের বর্ষণ যেন ফুল-ফসল ও জনমানবকে এনে দিবে স্বস্তি। গরমে বৈরী প্রভাব থেকে মুক্ত হবে প্রকৃতি।
আষাঢ়কে স্বাগত জানাতে এরই মধ্যে ফুটেছে কদম ফুল। আষাঢ়ে বাংলার প্রকৃতি সাজবে নবরূপে। বর্ষার সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে উঠবে পরিবেশ। বর্ষায় খালে-বিলে ফোটে শাপলা-শালুক। বাঙালির আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে আষাঢ়। আষাঢ় মাসের বৃষ্টির উজ্জ্বল উপস্থিতি রয়েছে গান-কবিতায়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় ‘ঐ আসে ঐ ঘন গৌরবে নবযৌবন বরষা, শ্যাম গম্ভীর সরসা’।
অনেকের চিন্তা কেমন যাবে ঈদের দিন
সোমবার (১৭ জুন) মুসলমানদের অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদের জামাত মাঠে হবে না মসজিদে, কোরবানি কোথায় করা সম্ভব হবে এসব কিছুই নির্ভর করবে বৃষ্টির ওপর।
আজ শনিবার (১৫ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার কোরবানির ঈদের দিন রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।এ সময় চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঈদের দিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ করতে পারে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ